ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে ঝুলছে তালা, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

রিফাত আলম রাজ, জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
জবিতে ঝুলছে তালা, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জবি (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়): অষ্টম পে স্কেলের প্রতিবাদ ও শিক্ষকদের স্বতন্ত্র পে স্কেলসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক ফেডারেশন সমিতির ডাকা পূর্ণ কর্মবিরতির কারণে জবির শ্রেণিকক্ষগুলোতে ঝুলছে তালা। কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না।



সোমবার (১১ জানুয়ারি) অনির্দিষ্টকালের এই কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। কর্মবিরতির সপ্তম দিন রোববার (১৭ জানুয়ারি) সকালে জবি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

পূর্বঘোষিত ফাইনাল পরীক্ষাও বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। প্রশাসনিক কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বিভাগীয় কোনো কার্যক্রমও চোখে পড়েনি।

সকালে জবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষক নেতা ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসেননি।   যাত্রীশূন্য অবস্থায়  চলাচল করতে দেখা গেছে জবির পরিবহন। স্থবির হয়ে পড়েছে জবির পুরো ক্যাম্পাস।

শিক্ষক আন্দোলনে ক্লাস-পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় সেশন জটের আশাঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, লোকসমাগম না থাকায় খোলেনি জবির কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। পাঠকশূন্য অবস্থায় রয়েছে জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি।
 
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত নৃ-বিজ্ঞান বিভাগ ঘুরে সেমিনার ও শ্রেণিকক্ষগুলো থালি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিভাগীয় অফিসও পুরোপুরি ফাকা।

একই অনুষদভুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে দুই/একজন শিক্ষার্থীর দেখা মিললো। বিভাগীয় কাজের জটিলতা থাকায় এসেছেন তারা। তবে কাজ করতে না পেরে নিরাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের।

ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা আদিল বলেন, চলতি মাসেই তাদের সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছি।
 
জবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কবীর বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় আড্ডা দিয়ে সময় পার করছি। তবে মাথায় সেশন জটের চিন্তা রয়েছে।

শিক্ষকদের এ আন্দোলন শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, বিভাগীয় কর্মচারীরা তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। বিভাগীয় কোনো কাজের জন্য তাদের কাছে গেলে তারা কর্মবিরতির অজুহাতে উল্টো ধমক দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের।

জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, জবি শিক্ষক সমিতি আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।

উল্লেখ্য, অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে শিক্ষকদের মর্যাদা ‘অবনমনের’ প্রতিবাদ ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন এবং সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহাল রাখাসহ পাঁ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌চ দফা দাবিতে সোমবার (১১ জানুয়ারি) থেকে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে। দাবি আদাল না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।