ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

‘প্রধানমন্ত্রী ওয়াকিবহাল, দ্রুত সমাধান হবে’

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
‘প্রধানমন্ত্রী ওয়াকিবহাল, দ্রুত সমাধান হবে’ অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী চান ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে ক্ষতি না হয়, তেমনিভাবে শিক্ষকরাও যে দাবিগুলো করেছেন তারও সুষ্ঠু সমাধান হোক। এ কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহসাচিব অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।


 
আর ক্লাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ক্লাস নেওয়ার কথাও জানান এই অধ্যাপক।  
 
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতির এক সপ্তাহের মাথায় রোববার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন অধ্যাপক ড. কামাল।   
 
এদিন ফেডারেশনের সভায় সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোতে  গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৩ এ উন্নীত হওয়াসহ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসতেন তা বহাল এবং গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সিনিয়র সচিবের মর্যাদা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়।
 
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, শিক্ষা, অর্থ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় যারা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত তারা দ্রুততম কীভাবে প্রসেস করবেন তার ওপর নির্ভর করবে এর সমাধান।
 
‘প্রধানমন্ত্রী ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী ওয়াকিবহাল হওয়ার কারণে প্রত্যাশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান হবে। প্রধানমন্ত্রীও চান ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে ক্ষতি না হয়, তেমনিভাবে শিক্ষকরাও যে দাবিগুলো করেছেন তারও সুষ্ঠু সমাধান’- বলেন তিনি।
 
শিক্ষকরা বলছেন, অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেলে যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি অধ্যাপকদের পদ ‘অবনমন’ হয়েছে।
 
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সুপার গ্রেড প্রদানের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
পাশাপাশি তরুণ শিক্ষকদের জন্য উচ্চতর শিক্ষার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু বৃত্তি’ চালু ও গবেষণার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে।
 
মর্যাদা ও বেতন প্রশ্নে বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলনের পর গত ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষাজীবনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
 
শিক্ষক ফেডারেশনের নেতা মাস্টার দা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ক্লাস না হওয়ার দায় আমাদের ঘাড়ে আসার সুযোগ নেই। আমরা আট মাস পরে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেই, আরও ৯ দিনের সময় দিয়ে ক্লাস বন্ধ করেছি’।
 
‘এখন আমরা চাই দ্রুততম সময়ে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হয়ে যাক। সেশনজট যাতে না হয়, প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে এবং সামনের যে পরীক্ষাগুলো আছে সেগুলো যথাসময়ে সম্পাদন করতে পারি, সেজন্য শুক্র ও শনিবার সময় নিয়ে ক্লাসগুলো শেষ করবো। সেশনজট বা পরীক্ষা যেন পিছিয়ে না যায় সেজন্য আমরা তৎপর থাকবো। কিন্তু সেটা নির্ভর করে কতো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিস্পত্তি হবে’।
 
অধ্যাপক কামাল বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান হলে আন্দোলন থেকে সরে আসবো। সমাধান ছাড়া আন্দোলন থেকে সরে আসার সুযোগ নেই। কারণ, বহু আগে থেকেই বলে আসছি। এরপর সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি দিয়েছি’।

** সপ্তাহ গড়ালো শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি
** সপ্তম বেতন কাঠামোর সুবিধা চান শিক্ষকরা

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।