রোববার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, শিক্ষক সমিতির নেতা, শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার গুণগতমান বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম।
আলোচনায় শিক্ষার গুণগতমান বাড়াতে আমরা প্রাথমিকভাবে সময়টাকে গুরুত্ব দিয়েছি। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন (শুক্র ও শনিবার) জেলার সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ দু’দিন শিক্ষার্থীরা বেড়াবে, খোলাধুলা করবে, সংস্কৃতির চর্চা করবে। তাতে শিক্ষার্থীদের শরীর ও মন ফ্রেশ থাকবে। বাকি পাঁচ দিন পড়াশোনা করবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, বর্তমানে বেশি নম্বর ও ভালো গ্রেড পাওয়ার জন্য অভিভাবকরা বিশেষ করে মায়েরা বাড়তি চাপ তৈরি করছেন সন্তানদের ওপর। মায়েদের কারণে বাচ্চারা কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হয়। এজন্য আমরা প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘মা সমাবেশ’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেন ঠিকমতো ক্লাস হয়, পাঠ্যপুস্তক পড়ানো হয়, ক্লাস বাদ দিয়ে যেন শিক্ষকরা কোচিংয়ের দিকে না ঝুঁকতে পারেন, সেজন্য তদারকি জোরদার করা হবে। এজন্য বিভাগীয় পর্যায়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পৃথক দু’টি কমিটি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/