ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে প্রথম 'গ্রন্থ প্রকাশনা উৎসব' অনুষ্ঠিত

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৮
জবিতে প্রথম 'গ্রন্থ প্রকাশনা উৎসব' অনুষ্ঠিত জবিতে ‘গ্রন্থ প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

জবি: প্রথম বারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ‘গ্রন্থ প্রকাশনা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকদের লেখা গবেষণা ধর্মী গ্রন্থগুলো স্থান পেয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, 'শুরুতেই আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থ প্রকাশনার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পণ্য কেনা-বেচার দোকান হওয়া উচিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয় মানে সমগ্র বিশ্বের সামগ্রিক জ্ঞান। এখানে যে বিষয়ে পড়েন সে বিষয়ের গন্ডির ভেতর আটকে থাকলেই হবে না বরং তাকে অন্য সব বিষয়ের জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের জায়গা তাই ছাত্র ও শিক্ষকদের গবেষণায় মনযোগী হতে হবে। '

এ সময় তিনি বাংলাদেশের সমগ্র সায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা ও গ্রন্থ প্রকাশনা বেহাল পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, 'আমাকে অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, সারাদেশে সবগুলো সায়ত্ত্বশাসিত মিলে গ্রন্থ প্রকাশনার জন্য আমাদের কাছে এবছর আবেদন এসেছে কলা অনুষদ থেকে ২১টি, বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ৪৩টি ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে কেবল ৯টি। এতো কম সংখ্যক আবেদন আমরা প্রত্যাশা করিনি। গবেষণার জন্য ও গ্রন্থ প্রকাশনার জন্য আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থের ব্যবস্থা করে রেখেছি কিন্তু তা দেওয়ার জায়গা নেই। এটা খুবই কষ্টকর ব্যাপার। গবেষণা ও প্রকাশনা ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান কখনই বাড়বে না।

এতে বিশেষ অতিথির ব্যক্তব্যে জবি উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'গবেষণায় জন্য বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থের বরাদ্দ রয়েছে। আমরা বিগত ২০১১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও এম ফিল চালু করেছি। ইতোমধ্যে আমাদের একজন পিএইচডি অর্জন করেছেন এবং আজ সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে আরো চারজনের পিএইচডি উপাধি দেওয়া হবে। '

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানের সঞ্চলনায় ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গ্রন্থসমূহের লেখক ও শিক্ষকরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

এ সময় বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব মণ্ডল তার বক্তব্যে বলেন, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ প্রকাশনীর খবর পেয়ে কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্বিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাকে ফোন করে বলেন, এটি একটি অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। পুরো ভারতবর্ষে এখন এই রীতি হারিয়ে যাচ্ছে। আমি তোমাদের এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ' এমন একজন মানুষের কাজ থেকে অভিনন্দন পাওয়া আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

এ সময় মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অশোক কুমার সাহার সোশ্যাল আইডেনটিটি, ইনডিবিজুয়ালিজম কালেকপিভিজম অ্যান্ড গ্রুপ ডিসিশন মেকিং, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. ইব্রাহীম খলিলের সামাজিক সমস্যা সমাধানে ইসলামের বিধান, প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ, একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিনের রাসূল (স) জীবন ও আদর্শ বিশ্বনেতা, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শওকত আলীর ছোট গল্প বিষয় উন্মোচন ভাষার অন্তদেশ এবং নাট্যকলা বিভাগের প্রভাষক শামস শাহরিয়ার কবির পীর পাঁচালী ধারার নাট্য বাগের হাট জেলার গাজী পীর অবলম্বণে পাঁচজন লেখকের পাঁচটি বইয়ের নাম ঘোষণা ও মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

প্রকাশনা উৎসব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা উপকরণ বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
ডিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।