সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অপরাজেয় বাংলার পদদেশে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেন।
এদিকে রোববার রাতে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে অগ্রহণযোগ্য বলেন। পাশাপাশি হল থেকে কোনো ছেলে যাতে এতে অংশগ্রহণ না করে অনুসারীদের সে নির্দেশ দেন। বক্তব্যে প্রিন্স আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে অনেক কাজ করার কথা বললে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান।
শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে অনঢ় থাকলে ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে তাদের ঘিরে রাখা হয়। কটুক্তি করে ছাত্রীদের তুলে দেওয়া হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান আন্দোলনের সমন্বয়ক মশিউর রহমান সাদিককে গলায় ধরে উপাচার্যের কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে তার ফোন নিয়ে বিভিন্নভাবে টর্চার করা হয়। এসব ঘটনার ভিডিও করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইংরেজি দৈনিক ও একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের সংবাদদাতার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়।
ছাত্রলীগের এসব কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধান করতে এসেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কিছু আমরা করবো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস