তবে আসনের পার্থক্যের কারণে গত শেষ সেশনের মতো এবারও প্রতি আসনের জন্য ৩৮ জন শিক্ষার্থী লড়ায় সমন্বিতভাবে বাড়েনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য বাংলানিউজকে বলেন, ২৭ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার সময় শেষ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্র ও আগের পরীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, এবার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৯৫ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৮৮ হাজার ৯৭০ জন। প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ৪৯ জন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে যা ছিল প্রতি আসনে ৪৭ জন।
কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটে ২ হাজার ৩৭৮ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ৪৫ হাজার ৩ জন ভর্তিচ্ছু। সে হিসেবে প্রতি আসনে লড়বেন ১৮ জন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ২ হাজার ৩৭৮টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩৬ হাজার ২৫০ জন। প্রতি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ১৫ জন।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ১ হাজার ২৫০ আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৯৫৮ জন। প্র্রতি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী ২৩ জন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সমান সংখ্যক আসনের বিপরীতে ২৭ হাজার ৫৩৪ জন আবেদন করেছেন। প্রতি আসনে লড়েন ২২ জন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটে ১ হাজার ৫৬০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৯৭ হাজার ৪৬৪ জন। বরাবরের মতো বিভাগ পরিবর্তনের ইউনিটে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। সে হিসেবে একটি আসনের জন্য লড়বেন ৬২ জন ভর্তিচ্ছু। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৬১৪ জন। সে হিসেবে এবার গতবারের তুলনায় আবেদন কমেছে।
চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটে ১৩৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৫ হাজার ৯৯৬ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১১৮ জন ভর্তিচ্ছু। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ১৪৪ জন।
১৩ সেপ্টেম্বর ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২০ সেপ্টেম্বর, ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ সেপ্টেম্বর, ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ সেপ্টেম্বর, ‘চ’ ইউনিটের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৪ সেপ্টেম্বর ও অঙ্কন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। ‘ক’, ‘খ’, ও ‘ঘ’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টা থেকে পরীক্ষার দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত। ‘গ’ ও ‘চ’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ৩০ আগস্ট বিকেল ৩টা থেকে পরীক্ষার দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ৭৫ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক ও ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৯০ মিনিটের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার জন্য ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৪০ মিনিট।
প্রতিটি নৈর্ব্যক্তিকের জন্য ১.২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে ০.২৫ নম্বর। লিখিত অংশে প্রশ্নের মান ২ থেকে ৫-এর মধ্যে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করতে হলে প্রার্থীকে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ এবং লিখিত অংশে ১২ নম্বরসহ মোট ৪৮ নম্বর পেতে হবে। বিষয়ভিত্তিকভাবেও পরীক্ষার্থীদের পাস করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস