বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ও প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে বটতলায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা গত ৫ নভেম্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
এসময় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, গত ৫ নভেম্বর উপাচার্যের মদদে ছাত্রলীগ আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে নির্মম হামলা চালিয়েছিল। এই উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান দীর্ঘ হচ্ছে। বর্তমান সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে 'জিরো টলারেন্স' নীতি আমরা তা জাবির ক্ষেত্রেও দেখতে চাই। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমামুক্ত করতে চাই।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুশফিক উস সালেহীন বলেন, বর্তমান প্রশাসন হল খুলে দিয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের একটি বিজয়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে উপাচার্য আমাদের ওপর ঠিক একমাস আগে হামলা চালিয়েছিল। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে উসকানি দিলে জাহাঙ্গীরনগর আবার অস্থির হবে।
ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ জামান।
সমাবেশ শেষে আগামী ১০ ডিসেম্বর উপাচার্যের দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশ করা হবে বলে ঘোষণা দেন আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রাইহান রাইন।
এদিকে গতকালের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে হলে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার থেকে শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় প্রায় ৩৫ জন আহত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এএ