খুলনা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব এ ফুলের মালা দেওয়া হয়।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের পক্ষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ফুল দেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) এর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এসময় স্বাশিপের সদস্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাব মিলনায়তনে স্বাশিপের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাশিপের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ওয়ালিউল হাসানাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চিরআরাধ্য দুটি স্বপ্নের মধ্যে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ তিনি উপহার দিয়ে গেছেন, কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে সপরিবার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় সোনার বাংলা তিনি গড়ে যেতে পারেননি। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে শারীরিকভাবে হত্যা করতে পারলেও তার আদর্শ মুছে দিতে পারেনি। আজ বঙ্গবন্ধু শারীরিকভাবে আমাদের মধ্যে নেই সত্যি, কিন্তু তার আদর্শ বেঁচে আছে। এ আদর্শ ধারণ করে দেশকে তার স্বপ্নের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার মধ্যেই তার সেই স্বপ্ন পূরণ হবে। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণে তারই সুযোগ্য কন্যা, উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আরও চর্চা করতে হবে। ’
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে তিনি বলেন, ‘একাত্তর সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যদি দেশে ফিরে না আসতেন, দেশের পরিস্থিতি কী হতো তা নিয়ে নানা সংশয় ছিল। কারণ হাজার হাজার মানুষের কাছে তখনও অস্ত্র ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা বঙ্গবন্ধু ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব ছিল না। ’
বিশেষ অতিথি হিসেব ট্রেজারার অধ্যাপক সাধন রঞ্জন ঘোষ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বঙ্গবন্ধু মহান স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পর তার পাকিস্তান সরকারের হাতে গ্রেফতার হওয়া, পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া, বিভিন্ন কারাগারে রাখা থেকে একাত্তরের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
এমআরএম/এফএম