ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
২৭ অক্টোবর, ২০২৩, শুক্রবার। ১১ কার্তিক, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৯০৫- সুইডেনের কাছ থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে নরওয়ের আত্মপ্রকাশ।
১৯১০- রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ কয়েক বছর যুদ্ধ পরিচালনার পর জাপানের জয়লাভ।
১৯১৪- ব্রিটিশ যুদ্ধ জাহাজ অডাসিয়াস ডুবে যায়।
১৯১৯- ভারতবর্ষে প্রথম খিলাফত দিবস পালিত।
১৯৪০- চীনের ইয়ানআন শহরে সিনহুয়া বেতারের নির্মাণকাজ শুরু।
১৯৪৭- কাশ্মীরের সার্বভৌমত্ব অধিকারের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ।
১৯৫৪- ওয়াল্ট ডিজনির প্রথম টিভি শো ডিজনিল্যান্ডের প্রিমিয়ার।
১৯৫৮- পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খানের ক্ষমতা গ্রহণ।
জন্ম
১৮৫৮- নোবেল জয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট।
১৯০১- আব্বাসউদ্দীন আহমদ, প্রখ্যাত বাংলা লোকসঙ্গীত গায়ক। আধুনিক গান, স্বদেশী গান, ইসলামী গান, লোকসঙ্গীত, উর্দুগান সবই তিনি গেয়েছেন। তবে লোকসঙ্গীতে তার মৌলিকতা ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। রংপুর ও কুচবিহার অঞ্চলের ভাওয়াইয়া, ক্ষীরোল চটকা গেয়ে আব্বাসউদ্দীন প্রথমে সুনাম অর্জন করেন। তারপর জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালা গান গেয়ে জনপ্রিয় হন। ১৯৫৫ সালে ম্যানিলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সঙ্গীত সম্মেলন, ১৯৫৬ সালে জার্মানিতে আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত সম্মেলন এবং ১৯৫৭ সালে রেঙ্গুনে প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন। এছাড়াও আব্বাসউদ্দীন মোট ৪টি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ‘আমার শিল্পীজীবনের কথা’ (১৯৬০) আব্বাসউদ্দীনের রচিত একমাত্র গ্রন্থ। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর প্রাইড অব পারফরমেন্স (১৯৬০), শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৯) এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে (১৯৮১) ভূষিত হন।
১৯০৪- ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী যতীন্দ্র নাথ দাস।
১৯১৪- ইংরেজ কবি ডিলান টমাস।
১৯১৫- ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী নেতা মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত।
মৃত্যু
১৬০৫- মোগল সম্রাট আকবর। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট। পিতা সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর ১৫৫৬ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং বৈরাম খানের তত্ত্বাবধায়নে তিনি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকেন। ১৫৬০ সালে বৈরাম খানকে সরিয়ে আকবর নিজে সব ক্ষমতা দখল করেন। ১৬০৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় সমস্ত উত্তর ভারত মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে চলে আসে। তিনি জাবতি প্রথা নামে একটি রাজস্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। পণ্ডিতদের মতে, আকবরই বাংলা সনের প্রবর্তক। আকবরের রাজত্বকালে শিল্প ও স্থাপত্যের বিশেষ অগ্রগতি হয়।
২০০৯– ডেভিড শেফার্ড, ব্রিটিশ ক্রিকেট আম্পায়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
এসআই