ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

গোল্ডেন বয় হওয়ার দৌড়ে গ্যাবিগোল-রাশফোর্ড-সানচেজ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
গোল্ডেন বয় হওয়ার দৌড়ে গ্যাবিগোল-রাশফোর্ড-সানচেজ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ২০১৬ ‘গোল্ডেন বয়’ অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৪০ জনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ‘ফেভারিট’ ইউরোর সেরা তরুণ খেলোয়াড় রেনাতো সানচেজ।

এছাড়াও অন্যান্য উদীয়মান তারকাদের মধ্যে রয়েছেন গ্যাব্রিয়েল বারবোসা ও মার্কাশ রাশফোর্ড।

২০০৩ সালে ইতালিয়ান ক্রীড়া দৈনিক ‘Tuttosport’ তরুণ প্রতিভা বাছাইয়ের লক্ষ্যে এই অ্যাওয়ার্ডের প্রচলন শুরু করে। বর্তমানে ইউরোপের আরো বিভিন্ন দেশের পত্রিকা ভোটিংয়ে অংশগ্রহণ করছে। এ মহাদেশ থেকে সাংবাদিকদের একটি প্যানেলের ভোটে নির্বাচিত হয় বছরের সেরা উদীয়মান ফুটবলার। যার বয়স হতে হবে ২১ বছরের নিচে (অনূর্ধ্ব-২১)। একজন খেলোয়াড় একবারই মর্যাদাপূর্ন এ পুরস্কার জিততে পারবেন।

গত মাসেই ইন্টার মিলানে যোগ দেওয়া ব্রাজিলিয়ান বারবোসা ৪০ জনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। যিনি গ্যাবিগোল নামে পরিচিত। সঙ্গে আছেন সেরা হওয়ার অন্যতম দাবিদার বায়ার্ন মিউনিখ ও পর্তুগিজ মিডফিল্ডার সানচেজ। আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানইউর উঠতি ইংলিশ ফরোয়ার্ড রাশফোর্ড।

সানচেজের ক্লাব সতীর্থ কিংসলি কোমানও আছেন যিনি ফ্রান্সের হয়ে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ইউরোয় আলো ছড়িয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের উঠতি স্প্যানিশ উইঙ্গার মার্কো এসেনসিও, টটেনহামের ড্যালি আলী, এসি মিলান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা, বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড ফরোয়ার্ড উসমান ডেম্বেলে, আর্সেনালের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড অ্যালেক্স ইওবি, ম্যানসিটির দুই খেলোয়াড় ইওবির স্বদেশী কেলেচি ইহেনাচো ও জার্মান উইঙ্গার লেরয় সেন।

গতবছর সেরার মুকুট জিতেছিলেন ম্যানইউর ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড অ্যান্থোনি মার্শাল। তার আগে তরুণদের শ্রেষ্ঠত্বের চূড়ায় ওঠেছিলেন যথাক্রমে পল পগবা (২০১৩) ও রাহিম স্টার্লিং। প্রথম বছরে (২০০৩) সেরার আসনে বসেন সাবেক নেদারল্যান্ডস মিডফিল্ডার রাফায়েল ফন ডার ভার্ট। এর পরেই ইভেন্টেই সবাইকে ছাড়িয়ে যান ওয়েইন রুনি।

পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসি ২০০৫ সালে গোল্ডেন বয় অ্যাওয়ার্ড উঁচিয়ে ধরেছিলেন। কিন্তু তার বর্তমান নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কখনোই এ পুরস্কারের স্বাদ নিতে পারেননি।

৪০ জনের তালিকা: ড্যালি আলী (টটেনহ্যাম), মার্কো এসেনসিও (রিয়াল মাদ্রিদ), লিওন বেইলি (জেঙ্ক), রিচেডলি বাজোয়ের (অায়াক্স), গ্যাব্রিয়েল বোসচিলিয়া (মোনাকো), জুলিয়ান ব্রান্ডট (লেভারকুসেন), কার্লোস ফার্নান্দেজ (সেভিয়া), আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেন (বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ), কিংসলে কোমান (বায়ার্ন মিউনিখ), আন্তে কোরিক (ডায়নামো জাগরেব), আমাদো ডায়াওয়ারা (নাপোলি), মাহমুদ দাহুদ (বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ), দানিলো বারবোসা (বেনফিকা), মুসা ডেম্বেলে (সেল্টিক), উসমান ডেম্বেলে (ডর্টমুন্ড), জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা (এসি মিলান), ব্রিল এম্বেলো (শালকে), গ্যাব্রিয়েল বারবোসা (ইন্টার), আলেকজান্ডার গোলোভিন (সিএসকেএ মস্কো), গঞ্জালো গুয়েডস (বেনফিকা), ডেমারাই গ্রে (লিচেস্টার সিটি), মার্কো গ্রুজিক (লিভারপুল), অ্যালেন হ্যালিওভিক (হামবুর্গ), কেলেচি ইহেনাচো (ম্যানচেস্টার সিটি), অ্যালেক্স ইওবি (আর্সেনাল), ভিক্টর কোভালেনকো (শাখতার দোনেৎস্ক), রুবেন লফটাস-চিক (চেলসি), লুকাস হার্নান্দেজ (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), ইমানুয়েল মাম্মানা (লিঁওন), নাথান (ভিতেসসে), অলিভিয়ের এন্টচাম (জেনোয়া), মার্কাস রাশফোর্ড (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), রেনাতো সানচেজ (বায়ার্ন মিউনিখ), জারিও রিডেওয়াল্ড (অায়াক্স), রুবেন নেভেস (পোর্তো), টনি সানাবরিয়া (বেতিস), লেরয় সেন (ম্যানচেস্টার সিটি), জোনাথন তাহ (বেয়ার লেভারকুসেন), ইউরি তিলেমান্স (আন্ডারলেখট), আলমামি তোরে (মোনাকো)।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।