ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

মেসিভীতি নিয়ে বার্সার মুখোমুখি ম্যানসিটি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
মেসিভীতি নিয়ে বার্সার মুখোমুখি ম্যানসিটি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বায়ার্ন মিউনিখের পর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সাবেক ক্লাবের মুখোমুখি পেপ গার্দিওলা। ন্যু ক্যাম্পে এবারও স্প্যানিশ কোচের বড় দুশ্চিন্তার নাম লিওনেল মেসি! গত বছর মেসির জোড়া গোলে বাভারিয়ানদের লজ্জায় (৩-০) ডুবিয়েছিল বার্সেলোনা।

চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসিভীতি নিয়েই বার্সা চ্যালেঞ্জের সামনে ম্যানসিটি। বুধবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত পৌনে ১টায় ‘সি’ গ্রুপের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে। দুই ম্যাচ শেষে পূর্ণ ৬ পয়েন্টে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বার্সা। দুইয়ে থাকা সিটিজেনদের সংগ্রহ ৪ (এক জয় ও এক ড্র)।

একই সময়ে আরো বেশ কয়েকটি ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের ম্যাচ উপভোগ করবেন দর্শকরা। এমিরেটস স্টেডিয়ামে বুলগেরিয়ার লুদোগোরেতসের মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। ডাচ ক্লাব পিএসভিকে আতিথ্য দেবে বায়ার্ন।  তুরস্কের বেসিকতাসের বিপক্ষে নামবে স্বাগতিক নাপোলি। প্যারিসে সুইস ক্লাব বাসেলকে মোকাবেলা করবে পিএসজি। আর রাশিয়ার রোস্তোভের মাঠে পা রাখবে গতবারের ফাইনালিস্ট অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।

স্বদেশী আইকনকে নিয়ে আগেই দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন ম্যানসিটি তারকা সার্জিও আগুয়েরো। মেসিকে আটকাতে গার্দিওলার পরিকল্পনাও ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। বায়ার্ন ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটবে কিনা সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা!

ক’দিন আগেই পেশীর ইনজুরি কাটিয়ে তিন সপ্তাহ পর মাঠে নামেন মেসি। ফিরেই গোল উদযাপনে মাতেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। দেপোর্তিভোর বিপক্ষে (১৫ অক্টোবর) ৪-০ গোলের জয়ে ম্যানসিটি ম্যাচের প্রস্তুতিটাও ভালোভাবে সেরে নেয় লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

শেষ চারবারের দেখায় সবকটিতেই ম্যানসিটিকে হারিয়েছে বার্সা। সবগুলো ম্যাচই ছিল শেষ ষোলো বা নকআউট পর্বের (২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫)। এ নিয়ে গত চার মৌসুমের মধ্যে তিনবারই বার্সার সামনে পড়লো তারা। কাতালান বাধা জয় করতে পারবে তো সিটিজেনরা?

বার্সার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দলের আত্মবিশ্বাস নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন গার্দিওলা। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ তিনটি ম্যাচেই যে জয়হীন ম্যানসিটি।

দ্বিতীয়বারের মতো বার্সার মুখোমুখি হচ্ছেন গার্দিওলা। বায়ার্নের কোচ হিসেবে ২০১৪-১৫ আসরের সেমিতে (৩-৫ অ্যাগ্রিগেট) বাদ পড়েছিলেন। যার মধ্যে আছে ন্যু ক্যাম্পে ৩-০ গোলে হারের দুঃস্বপ্নময় রাত।

চ্যাম্পিয়নস লিগে ইংলিশ ক্লাবের মধ্যে একমাত্র লিভারপুল ন্যু ক্যাম্পে এসে বার্সাকে হারিয়ে যেতে পেরেছে। ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারির ম্যাচটিতে ২-১ গোলের জয় পেয়েছিল অল রেডসরা। কাতালান গ্রাউন্ডে অন্য ১৯টি ইংলিশ সফরে ১১ বারই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা। আট ম্যাচ ড্র’তে নিষ্পত্তি হয়।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর শেষ ১৭টি চ্যাম্পিয়নস লিগ হোম ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই গোলস্কোর করেছে বার্সা। ৫২ বার তারা প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে। ম্যাচপ্রতি গোলের গত ৩-এর উপরে!

ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় স্পেনে নিজেদের শেষ আট ম্যাচের মধ্যে ছয়টিতেই হেরেছে ম্যানসিটি। দু’টি জয় আসে ভিয়ারিয়াল (৩-০, নভেম্বর ২০১১) ও সেভিয়ার বিপক্ষে (৩-১, নভেম্বর ২০১৫)।

চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে টানা ২০টি হোম ম্যাচে অপরাজেয় বার্সা (১৮ জয় ও দুই ড্র)। সবশেষ ২০০৯ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার রুবিন কাজানের কাছে ২-১ গোলে হারের স্বাদ পেয়েছিল পাঁচবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।