ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

জয়ে শেষ হলো আবাহনীর প্রথম লেগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
জয়ে শেষ হলো আবাহনীর প্রথম লেগ ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে জয় দিয়েই প্রথম লেগের খেলা শেষ করলো ঢাকা আবাহনী। সানডে সিজোবার জোড়া গোলে প্রথম লেগে নিজেদের শেষ ম্যাচে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে ২-০ গোলে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।

 
 
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কিক অফের শুরু থেকেই দাপুটে খেলা উপহার দেয় হাইভোল্টেজ ম্যাচটির দুই প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী ও রহমতগঞ্জ। গোলের তৃষ্ণায় দল দুটোর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই প্রতি মুহুর্তেই উল্লাসের উপলক্ষ এনে দিয়েছে সমর্থক গ্যালারিতে।
 
হাড্ডাহাড্ডি এই লড়াইয়ের ৯ মিনিটে আবাহনী মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট দলকে এগিয়ে নেয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন। কর্ণার কিক থেকে আসা বলটিকে মাথার জোড়ালো ছোঁয়ায় চেয়েছিলেন জালে পাঠাতে কিন্তু সেখানে বাঁধ সাধেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম মাসুম।
 
পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে যায় রহমতগঞ্জ। আক্রমণের মুখে আবাহনী রক্ষণভাগ প্রতিরোধ গড়লে ডি-বক্সের কিছুটা বাইরে ফ্রি কিক পায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি। ফ্রি-কিক নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার মুস্তফা। কিন্তু গোলরক্ষক সোহেলের দক্ষতায় সেই ফ্রি-কিক থেকে গোল তুলে নিতে ব্যর্থ হয় রহমতগঞ্জ।
 
আবাহনীর হয়ে ৩২ মিনিটে গোলের সম্ভাবনা জাগান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজোবা। জালের একেবারে সামনে গিয়ে দুর্দান্ত হেডে চেয়েছিলেন গোল রক্ষককে পরাস্ত করতে। কিন্তু পারেননি।
 
প্রথমার্ধে আবাহনীর সব চাইতে বড় সুযোগটি এসেছিল অতিরিক্ত সময়ে। মাঝমাঠ থেকে একা বল নিয়ে বক্সের ঢুকে পড়েন সানডে। সেখানে ছিলেন না কোনো রক্ষণভাগের খেলোয়াড়। গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগে না পারলে গোলশুণ্য ড্র নিয়েই দু’দলকে যেতে হয় প্রথমার্ধের বিরতিতে।
 
প্রথমার্ধে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই সফলতার দেখা পায় আবাহনী। ৪৮ মিনিটে রহমতগঞ্জ সীমানায় বল নিয়ে ঢুকে পড়েন জুয়েল রানা। মুহুর্তেই তাকে আটকে দেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। তারপরেও দমে যাননি জুয়েল। বলটি এগিয়ে দেন সানডে সিজোবাকে। আর সানডে কী করলেন? পায়ের কৌশলী ছোঁয়ার বলটি পাঠিয়ে দিলেন জালে। ব্যাস ১-০ তে এগিয়ে যাবার উল্লাসে মেতে ওঠে জর্জ কোটানের শিষ্যরা।
 
পিছিয়ে পড়াটা ঠিক যেন মেনে নিতে পারছিলো না রহমতগঞ্জ। আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বারবারই চেয়েছে আবাহনীর সুরক্ষিত রক্ষণ ভাঙতে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে কেননা কৌশল পাল্টে রক্ষণাত্নক খেলা শুরু করেছে আকাশী নীলেরা। ফলে রহমতগঞ্জের একটি আক্রমনও সফলতার মুখ দেখেনি।
 
রহমতগঞ্জ যখন আক্রমন রচনা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলো ঠিক তখনই আবার সফলতার মুখ দেখে আবাহনী। এবারও আবাহনীর নায়ক সেই সানডে। ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে যখন ইনজুরি টাইমের খেলা চলছিলো তখন মাঝ মাঠের অনেক বাইরে থেকে তার শটটি গিয়ে আছড়ে পড়ে রহমতগঞ্জ জালে। আর তাতেই ২-০ তে এগিয়ে যায় আবাহনী।
 
তবে ম্যাচের শেষটা শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। ম্যাচ শেষের মিনিট দুয়েক আগে রহমতগঞ্জ ফরোয়ার্ড নুর আবসার আবাহনী বক্সের ভেতর ঢুকে বল জালে জড়াতে গেলে এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। আবসার বলে পা না দিয়ে আঘাত করেন সোহেলের পায়ে। পরে সোহেল তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে রেফারি সোহেলকে লাল কার্ড দেখান।    ম্যাচের বাকি ১ মিনিট তার জায়গায় গোলবার পাহাড়া দেন বদলি গোলরক্ষক শাকিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর ২০১৬
এইচএল/এসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।