ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পুষ্টি মেটাতে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
পুষ্টি মেটাতে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার

প্রতিদিন কোন খাবার খাবো বা কোন খাবারে শরীরের কী উপকার করে, তার কতটুকুই বা আমরা জানি। ভালো খাবার যেমন ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখে, তেমনি খারাপ খাবার ডেকে আনে বিড়ম্বনা।

আসুন জেনে নেই কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার।

শিম, বরবটি এবং মটরশুঁটি অতি আঁশযুক্ত একটি খাবার। এগুলো শরীরের ওজন এবং রক্তের চিনি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া মলাশয় ক্যানাসার এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। আমেরিকার ‘দ্য ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব মেডিসিন’ মনে করে প্রতিদিন প্রত্যেকের খাবারে ২৫-৩৮ গ্রাম আঁশ খাওয়া উচিত। এক কাপ শিমে ১১-১৭ গ্রাম আঁশ থাকে।  

জাম একটি আঁশযুক্ত  ফল। সব ধরনের জামই কম শর্করাসমৃদ্ধ এবং বেশি আঁশযুক্ত, যা যে কোনও বয়সী মানুষের স্বাস্থের জন্য উপকারি। এটি স্মৃতি বাড়ায় এবং গবেষণা ও পড়ালেখায় উৎসাহ যোগায়। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, ফলটি ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।  

যারা সপ্তাহে কয়েক দিন বাদাম খান আর যারা খান না, এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাদাম খাওয়া ব্যক্তিরা ৩০ থেকে ৫০ ভাগ হার্ট এটাকের ঝুঁকিমুক্ত। সাথে সাথে অন্যান্য হৃদরোগ থেকেও ঝুঁকিমুক্ত। বাদাম চুলের জন্যও উপকারী।  

সামুদ্রিক এ মাছটি ইউরোপ এবং আমেরিকান খাবার হিসেবেই পরিচিত। সাধারণভাবে যেকোনো মাছই বার্ধক্য রোধ করে, তবে এ মাছটি বেশি উপকারী। এ মাছে ওমেগা থ্রি নামে যে চর্বি থাকে তা হৃৎপিণ্ড এবং মস্তিস্ক সুস্থ রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

অপরিশোধিত দুধ যা সাধারণত ঘাস খাওয়া গরু থেকেই আসে। প্রাকৃতিক এ দুধ ক্যানসারের সাথে লড়তে পারে। দুধ যেমন শক্তিশালী ভিটামিনের উৎস, তেমনি এতে আছে খনিজ পদার্থ যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

ঘাস খাওয়া গরুর মাংস এবং বাজারে বিক্রি হওয়া সাধারণ মাংসের নানা পার্থক্য রয়েছে। এর মাংসে এক ধরনের চর্বি আছে যা ক্যানসার রোধে সহায়ক। এটি প্রাণিজ আমিষ এবং ভিটামিন বি-১২ এর চমৎকার উৎস ।

বিভিন্ন দিক বিবেচনায় দেখা যায়, ডিম অন্যতম একটি পরিপূর্ণ খাবার। ডিমে আমিষ থাকে বেশি কিন্তু সে তুলনায় ক্যালরি থাকে স্বল্প পরিমাণে। ডিমের কুসুমে থাকা ‘কোলিন’ মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী। এর মধ্যে আছে চোখের জন্য খুব দরকারি উপাদান। এটিও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ডিমে আছে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং ক্যালসিয়াম।

আপেল যে শুধু খেতে সুস্বাদু তা নয়, এটি ক্যানসার এবং হাঁপানি রোধে সহায়তা করে। একটি আপেলে পাঁচ গ্রাম আঁশসহ নানা ধরনের উন্নত ভিটামিন থাকে। যেমন এতে আছে হাড় মজবুতকারী ভিটামিন ‘কে’। ফুসফুসের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণেও এটি সমানভাবে কাজ করে।

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁয়াজ এবং রসুন পাকস্থলি, প্রোস্টেটসহ বিভিন্ন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। ফুলকপি, চা এবং পেঁয়াজ-রসুন এমন ধরনের খাবার, যা মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

গবেষকরা বেদানাকে ‘প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা’ বলে অভিহিত করেছেন। এটি রক্তসঞ্চালনে যেমন সহায়তা করে, তেমনি দাঁতের ব্যাকটেরিয়াও দমন করে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি টিউমারও প্রশমন করে।

যদিও সব ধরনের চা-ই আমাদের শরীরের জন্য ভালো, তারপরও সবুজ চা জীবনে আলাদা জায়গা করে নেবে শুধু ক্যানসার রোধের কারণে। এটি মূত্রাশয়, মলাশয়, অগ্ন্যাশয় এবং পাকস্থলির ক্যানসার রোধে কাজ করে। এছাড়া এটি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।