শুক্রবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঘটনার বিষয়ে সার্জারি ইউনিট-৪ এর প্রধান সহকারী অধ্যাপক এজেডএম মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে কথা হয়।
তিনি জানান, গত বুধবার (০৮ এপ্রিল) ঢাকা মেডিক্যালে এক রোগী এসেছিলেন।
তিনি বলেন, তখন তাদের বললাম, দ্রুত আপনারা ঢাকা মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চলে যান রোগীকে নিয়ে। পরে জানতে পারলাম রোগীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে না নিয়ে বাইরে নিয়ে যায়। পরে আমরা শুনেছি, কুয়েত মৈত্রী অথবা কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) তার নমুনা সংগ্রহ করে। তার নমুনা পরীক্ষার পর দেখা গেছে তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। যেহেতু ২১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন। যেসব চিকিৎসক ও নার্স তাকে চিকিৎসা দিয়েছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। যদিওবা তারা পিপিই পরা ছিলেন। শুক্রবারও ২১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ নম্বর ইউনিটে ভর্তির ডেট ছিল। সেটা বাতিল করে অন্য ইউনিটে নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ঢাকা মেডিক্যালে আছে ৪৫টি বিভাগ ও ৮৫টি ওয়ার্ড। বাংলাদেশের সব স্থান থেকে এখানে রোগীরা ভর্তি হচ্ছে, চিকিৎসা নিচ্ছে। একজন রোগী তার তথ্য গোপন করে ওয়ার্ডে গিয়ে চিকিৎসকদের ভুল তথ্য দেয়। পরে দেখা যায়, ওই রোগী করোনা ভাইরাস পজেটিভ। অথচ আগে বললে, তাকে আইসোলেশন বা সরকারের বরাদ্দ করা হাসপাতালে পাঠানো হতো। কিন্তু রোগীর ভুল তথ্যের কারণে সবাই সাফার করবে এটা কখনো ক্ষমা করা যায় না। সমাজ তাকে কখনোই ক্ষমা করবে না। রোগীরা তথ্য গোপন করে ওয়ার্ডে চলে যেতে পারে এই ভাবনা থেকেই চিকিৎসকদের পিপিই দেওয়া হয়েছে। তারা পিপিই পরে রোগীদের চিকিৎসা দেন। যেদিন রোগীটা এসেছিল সার্জারিতে তখন চিকিৎসক-নার্স ওয়ার্ডবয় সবাই পিপিই পরিহিত অবস্থায় ছিল। রোগীদের কাছে বা রোগীর স্বজনদের কাছে অনুরোধ করবো, যে রোগে আক্রান্ত হন সরকার আপনাদের জন্য সব চিকিৎসার ব্যবস্থা করে রেখেছে। চিকিসৎকরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনাদের সুস্থ করার জন্য চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে, রোগীর কোনো তথ্য গোপন করবেন না। সঠিক তথ্য ডাক্তারকে জানান। চিকিৎসকরা প্রোটেকশন মেনেই চিকিৎসকরা সবসময় রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এজেডএস/এইচএডি/