ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মো. আব্দুর রকিব খান (৫৯) হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ জন আসামি ধরা পরায় খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) দুপুর ২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিএমএ খুলনার সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম কর্মবিরতে স্থগিতের ঘোষণা দেন।

এ সময় তিনি বলেন, রোগীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ৭২ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে ডা. রকিব হত্যা মামলার সব আসামিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ও সদর থানার ওসির প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে পরবর্তীতে আলোচনাক্রমে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর বুধবার (১৭ জুন) বিকেল থেকে আল্টিমেটাম দিয়ে বিএমএর আহ্বানে কর্মবিরতি পালন করছিলেন খুলনার চিকিৎসকরা।

এদিকে ডা. রকিব হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি জমির, আবুল আলী, গোলাম মোস্তফা, খাদিজাকে গাজীপুরের টঙ্গী ও খুলনার রূপসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ জুন) দিনগত রাতের বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে আবদুর রহিম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এই নিয়ে এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে তিনজন গ্রেফতার হলো।

বুধবার দুপুরে নিহতের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার ঘটনায় চারজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।

নগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। খুমেকের চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলীর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত রোগীর স্বজনরা ১৫ জুন রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে ডা. রকিবকে লাথি ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে প্রথমে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শেখ আবু নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আইসিইউতে ১৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।