ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিম হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩ রোগীর মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
শেবাচিম হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৩ রোগীর মৃত্যু

বরিশাল: বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাত ঘণ্টার ব্যবধানে তিন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ জুন) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুন বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন রায়পাশা এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিনের স্ত্রী শামীমা (৩৬) হাসপাতালের সিসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

করোনার উপসর্গ দেখা দিলে শামীমাকে সিসিইউ থেকে শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তাকে করোনা ওয়ার্ডে পাঠান চিকিৎসকরা। যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে দুপুর ২টা ৫ মিনিটে করোনা ওয়ার্ডের আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করেন বরিশালের বাইশারী উপজেলার মৃত আরব আলী রাঢ়ীর ছেলে আ. বারেক (৫৫)। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১৪ জুন দুপুর সাড়ে ১২টায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হন।

এদিকে সকাল ৭টায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর এলাকার মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক (৬৬) করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি গত ১৭ জুন সকাল সোয়া ১০টায় শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হন।

মৃত ব্যক্তিদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে তারা করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে মোট ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ও ২১ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এখনও সাত জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া গত ১৭ মার্চ থেকে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৪৬৭ জন। যার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ১৭০ জন ও মোট সুস্থ হয়েছেন ৩১০ জন রোগী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২০
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।