রোববার (৫ জুলাই) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরাধীন বিভিন্ন হাসপাতাল-চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েক হাজার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এবং বেকার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য ভবনে সমবেত হয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এ সময় তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
বক্তারা বলেন, ৭ দফা দাবিসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়ন না হলে জরুরি সেবা অব্যাহত রেখে বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারাদেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমটিএ) সাত দফা দাবিগুলো হলো- স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির কারণে বয়স উত্তীর্ণ বেকার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের বয়স প্রমার্জনা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে ২০ হাজার বেকার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টকে অবিলম্বে নিয়োগ, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ডিপ্লোমা মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ড অবিলম্বে চালুকরণ, স্বেচ্ছাসেবক-অস্থায়ী ভিত্তিতে-মাস্টাররোলের মাধ্যমে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগ বন্ধকরণ, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ মোতাবেক ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট বাস্তবায়ন এবং কারিগরি সংশ্লিষ্টদের মামলার চুড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে পাশ করাদের স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগ না দেওয়া, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ১৮৩ জন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের স্থায়ী নিয়োগের সুপারিশের আলোকে ১৪৫ জনের নিয়োগপত্র বাতিল এবং এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অবস্থান ধর্মঘটে সভাপতিত্ব করেন বিএমটিএ’র সভাপতি আলমাছ আলী খান বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্টদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করছে না এমনকি অনেকাংশে তাদের কাজেরও স্বীকৃতি দিচ্ছে না। এক যুগেও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের চাকরিতে প্রবেশের বয়স চলে গেছে।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন- মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন খান, জহিরুল ইসলাম সরকার, সেলিম মোল্লা, আব্দুর রব, আওলাদ হোসেন খান, মহব্বত হোসেন খান, সমীর কুমার বেপারী, জাহিদুল ইসলাম শাহিন, শফিকুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম শিবলী, সিরাজুল ইসলাম, মাহবুব হাসান, শহিদুল ইসলাম, তাহমিনা, ইকরা, রাজিবুল হাসান রাজা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২০
এনটি