কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট আগামী ৮ জুলাই। ভোটের তফশিল ঘোষণা হয়েছে গত ৮ জুন।
যদিও বৃহস্পতিবার (২২ জুন) পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য (পশ্চিমবঙ্গ) নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা এদিন জানান, পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান কমিশনে নথিবদ্ধ করা হয়েছে।
তবে কোথায়, কতজন, কীভাবে নিহত হয়েছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি নির্বাচন কমিশন।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশনার নিজেকে জোকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রকাশ্যে বলেছেন, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে তৃণমূলের দু’জন খুন হয়েছেন, তখন কমিশনারের খাতায় ছিল শূন্য। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, কেমন তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের বিরোধী দলের এই নেতা আরও বলেন, গত ১৫ জুন কমিশনের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত ভোট পর্বে মৃতের সংখ্যা শূন্য বলে জানানো হয়। অথচ ওইদিন বিকেলেই ভাঙড়ে ২ জন খুন হন। ওইদিন সংঘর্ষে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) এবং তৃণমূলের একজন করে কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ৯ জুন মুর্শিদাবাদ জেলায় দু’জন কংগ্রেস কর্মীর হত্যার ঘটনাও সামনে এসেছে।
এছাড়া মালদহ জেলায় একজন এবং কোচবিহার জেলার দিনহাটাতেও তৃণমূল ও বিজেপির একজন করে কর্মী খুন হয়েছে। এছাড়া ১৫ জুন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া এলাকার মনোনয়ন পর্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতির গুলিতে মনসুর আলম নামে সিপিআইএ-এর এক তরুণ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাহলে তিনি কিভাবে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে?
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, করোনার সময়ে রাজীব সিনহা রাজ্যের মুখ্যসচিব হিসেবে মৃতের সংখ্যা লুকিয়েছিলেন। আর এখন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটে নিহতের সংখ্যা লুকাচ্ছেন।
তবে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, নিহতের সংখ্যা নিয়ে চিরকালই সরকার ও বিরোধীদের মতান্তর থেকে গেছে। এটা কোনো নতুন বিষয় নয়। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকের বক্তব্য, তুলনামূলকভাবে দেখতে গেলে, পাঁচ বছর আগের পঞ্চায়েত ভোটের তুলনায় এবার অশান্তি সহিংসতা অনেকটাই কম। যদিও ভোট পর্ব এবং গণনা শেষ হতে এখনো তিন সপ্তাহ বাকি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
ভিএস/এনএস