ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় চালু হলো মুসলিমদের আধুনিক শবাগার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪
কলকাতায় চালু হলো মুসলিমদের আধুনিক শবাগার

কলকাতা: কলকাতার পার্কসার্কাস সংলগ্ন গোবরা মুসলিম কবরস্থানে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের লাশ রাখার জন্য আধুনিকমানের শবাগার মঞ্জিল-এ-সুকুন বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চালু হয়েছে। কলকাতার সমাজসেবামূলক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের উদ্যোগে এই শবাগার গড়ে তোলা হয়েছে।

মুসলিম লাশ সংরক্ষণের পাশাপাশি গোবরা কবরস্থানের দুটি ব্লকে বেওয়ারিশ মুসলিমদের লাশ কাফন ও দাফনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করেছে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার মঞ্জিল-এ-সুকুন এবং বেওয়ারিশ মুসলিম লাশ কাফন-দাফনের মিট্টি মঞ্জিলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শতাব্দী প্রাচীন নাখোদা মসজিদের ইমাম মো. শফিক কাশমি, ঈমামে ঈদাইন ক্কারী ফজলুর রহমান, পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান হাসান ইমরান, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পরিষদ তথা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি, সমাজসেবী হাজি মোস্তাক সিদ্দিকী প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশিষ্টরা এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তারা বলেন, লাশ সংরক্ষণ ব্যবস্থার ফলে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও এর সুবিধা পাবেন। এ ধরনের লাশ সংরক্ষণ ব্যবস্থার ফলে আত্মীয়-স্বজনরা তাদের লাশ দেখার সুযোগ পাবেন।

আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি বলেছেন, লাশ সংরক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক মানের ফ্রিজার বক্স কেনা হয়েছে। মাত্র ৫০০ রুপির বিনিময়ে প্রতি ২৪ ঘণ্টার জন্য লাশ সংরক্ষণ করা যাবে। তিনদিন পর্যন্ত লাশ রাখা যাবে। তবে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি রাখলে একটি বিশেষ ইনজেকশন দিতে হয় লাশে, যাতে শরীর কালো না হয়ে যায়। এর দাম পড়বে ১৫০০ রুপি।

শহরে শুধু মুসলিমদের লাশ রাখার জন্য কলকাতায় এতদিন কোনো নির্দিষ্ট স্থান ছিল না। ফলে সম্প্রদায়টির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, তাদের জন্য কলকাতায় একটি স্বতন্ত্র শবাগারের ব্যবস্থা করা হোক। সেই ব্যবস্থাই এতদিন বাদে করে দিলেন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পরিষদ আমিরুদ্দিন ববি। যিনি কলকাতা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামেরও সভাপতি।

১৯০৫ সালের অবিভক্ত ভারতে কলকাতা শহরে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়। গুজরাটের বাসিন্দা মুসলিম সমাজসেবী ইব্রাহিম মো. ডুপ্লের উদ্যোগে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। তারপর থেকে এই সংগঠন কলকাতার মুসলিমদে লাশ দাফন-কাফন করে আসছে। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। তারপর থেকে কলকাতার পাশাপাশি গোটা বাংলাদেশজুড়ে এই সংস্থা, দাফন কাফনের পাশাপাশি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।