কলকাতা: ভারতের অর্থনীতিতে জাল রুপির প্রবেশ এবং সেটি ছড়িয়ে পড়া এক বড় সমস্যা। এই সমস্যা থেকে সমাধানের রাস্তা খুঁজতে কলকাতার তিন অধ্যাপকের গবেষণা নতুন দিগন্ত দেখাতে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
জাল রুপির সমস্যাটি ভারতের অর্থনীতিতে স্বাধীনতার কিছুকাল পর থেকেই শুরু হয়। এই সমস্যার সমাধানে পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা। বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে ১০ লক্ষ ভারতীয় নোটের মধ্যে গড়ে ২৫০টি জাল নোট আছে।
২০১০ সালে ভারত সরকারের নির্দেশে কলকাতার তিন গবেষক অধ্যাপক রঞ্জন শেঠ , অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দীপক মান্না জাল নোট নিয়ে তাঁদের গবেষণার কাজ শুরু করেন। তাদের গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতি বছর ভারতের আর্থিক বাজারে ৭০ কোটি টাকার মতো জাল নোট ঢুকলেও ঠিক তত পরিমাণ জাল নোট কিন্তু বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরাও পড়ে। সুতরাং নতুন করে ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নেই।
কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়, আগে যে ৪০০ কোটি জাল নোট ভারতে ঢুকেছে সেই আবর্জনা পরিষ্কার করতে আরও অন্তত পাঁচ থেকে দশ বছর সময় লাগবে। ভারতের বাজারে মোট যে জাল নোট শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে তার ৮০% মাত্র তিনটি ব্যাঙ্কের।
গবেষকদের দাবি সব কটি ব্যাঙ্কে এই ব্যবস্থা চালু করলে আরও বেশি জাল নোট ধরা পড়বে। ফলে অর্থনীতিতে জাল নোটের চাপ কমে আসবে।
তাদের দাবি ভারতের ব্যাঙ্কগুলিতে এই পদ্ধতি কড়াকড়ি করলেই জাল নোট কোথা থেকে আসছে তার হদিশও পাওয়া যাবে। সরকারি একটি সূত্র থেকে জানা জানা যাচ্ছে, এই গবেষণার পর ভারতের অর্থনীতিতে কতটা জাল নোট আছে সেটার একটা হিসেব পাওয়া গেছে। মনে করা হচ্ছে এই গবেষণার ফলে ভারতের অর্থনীতি থেকে জাল নোটের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ১৪ মে , ২০১৬
ভি.এস/আরআই