ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব শুরু মঙ্গলবার

সুদীপ চন্দ্র নাথ, আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৬
ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব শুরু মঙ্গলবার  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা: ত্রিপুরার ঐতিহ্যবাহী ‘খার্চি উৎসব ও মেলা’ আগামী মঙ্গলবার (১২ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে। উ‍ৎসব স্থল আগরতলার চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে এখন সাজ সাজ রব।

সাত দিনব্যাপী চলে এই উৎসব ও মেলা। কয়েক যুগ ধরে এ মন্দিরে খার্চি পূজা হয়ে আসছে।

মন্দিরে মোট ১৪জন দেব-দেবীর প্রতিমা থাকায় একে চতুর্দশ দেবতা মন্দির বলা হয়। এরা সকলে প্রাচীন উপজাতি রাজাদের গৃহ দেবতা।

এখানে প্রতি বছর বাৎসরিক পূজা হয়ে আসছে। পরবর্তী সময় শুরু হয় মেলা। এই মেলায় প্রতি বছর ত্রিপুরা ছাড়াও উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্য এবং কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গ থেকেও লোক আসেন।

এই মন্দিরের কিছু নিয়ম রয়েছে। এই মন্দিরের পুরোহিত কে বলা হয় চন্তাই। তিনি শুধু পূজার মন্ত্র জানেন। এই মন্ত্র লিখে রাখা হয়না। চন্তাই তার জীবনের শেষ লগ্নে নতুন চন্তাই নির্বাচন করেন ও তাকে মন্ত্র শিখিয়ে যান। এই ভাবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই প্রথা। এই পূজার মন্ত্রের কথা উদ্ধারের চেষ্টা বহু গবেষক একাধিক বার চেষ্টা করে ছিলেন। কিন্তু কোনো চন্তাই এই মন্ত্রের কথা কাউকে বলেননি।

পূজার দিনগুলোতেই ১৪জন দেব-দেবীদের দেখার সুযোগ পান দর্শনার্থীরা। আর বছরের বাকি দিনগুলোতে দেব-দেবীদের সিন্ধুকের ভেতর তালা বন্দি করে রাখা হয় মন্দিরের সুরক্ষিত স্থানে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও গোটা চতুর্দশ দেবতা মন্দির নতুন রঙয়ে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে। মন্দিরসহ হাবেলী পার্ক, মিউজিয়াম, হাবেলী লেক নানা রঙের আলোক মালায় সাজানো হচ্ছে।

এবছর খার্চি উৎসব ও মেলায় দেড় হাজার দোকান বসছে, তাই এখন এই স্টল নির্মাণ চলছে। মেলায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মেলা প্রাঙ্গণে ১৮টি স্থানে বসানো হয়েছে সি সি ক্যামেরা। পুলিশ, টি এস আর বাহিনীর পাশাপাশি ১শ জন সিভিল ডিফেন্স, ১শ জন স্কাউটস অ্যান্ড গাইড কর্মী, ১শ জন স্বেচ্ছাসেবী কর্মীসহ সাদা পোশাকের কর্মী নিয়োগ করা হবে।

যে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে মেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মেলায় আসা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্র এবং জরুরি প্রয়োজন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়েছে।

প্রতি বছরের মত উৎসব প্রাঙ্গণে সাত দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে, এতে রাজ্যের প্রায় ১ হাজার ৫শ শিল্পী অংশ নেবেন। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসাম ও বাংলাদেশ থেকে দুটি শিল্পী দল অংশ নিচ্ছে বলে আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৬
বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।