শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কেরালার কোঝিকরে এক অনুষ্ঠানে সিএএ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা ও বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল মন্তব্য করেন, নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) মানতে পারব না বা মানবো বলার ক্ষমতা ভারতের কোনো রাজ্যের নেই। সংসদে পাস হওয়া এ আইন সব রাজ্যই মানতে বাধ্য।
এদিকে রোববার(১৯ জানুয়ারি) সকালে কপিল সিব্বল এক টুইটে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সিএএ সংবিধান বিরোধী। এই আইন প্রত্যাহারে প্রস্তাব পাস করাতে প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট যদি এই আইনের বৈধতায় সিলমোহর দেয়, তাহলে সমস্যা রয়েছে।
এনিয়ে কংগ্রেসের অপর নেতা সালমান খুরশিদও বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের উপরই নির্ভর করছে সিএএর ভবিষ্যত।
মমতা শাসিত পশ্চিমবঙ্গ ও কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবও সিএএ কার্যকর করবে না জানিয়ে দেয়। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে ওই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলাও করে। বিহারও জানিয়েছে, সিএএ কার্যকর করতে দেবে না তাদের রাজ্যে।
এরআগে ১৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সব রাজ্য, এমনকি কেরালার মত সিএএ-এনপিআর নিয়ে সরব রাজ্য অংশগ্রহণ করলেও পশ্চিমবঙ্গ এতে অংশ নেয়নি। বৈঠকে জনসংখ্যা পঞ্জিকরণ বা গণনার প্রক্রিয়াসহ এনপিআর সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়।
১৬ জানূয়ারি কলকাতায় ধরনা মঞ্চ থেকে মমতা এক বক্তব্যে বলেন, সিএএ-এনআরসি-এনপিআর একে অপরের পরিপুরক। তাই কোনোটাই আমার রাজ্যে চালু করতে দেবো না। এতে যদি রাজ্যপাল আমাদের সরকার ভেঙে দেয় তাতেও কিছু এসে যায় না।
অবশ্য মমতার এমন আচরণে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা রবিবার বাংলানিউজকে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এর আগে নোট বাতিল, জিএসটি, ৩৭০ রদ, এমনকি সিএএ বিল পাসের বিরোধিতা করেছেন। তাতেও কিছু ফল হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী যতই এর বিরোধিতা করুন না কেনো, পশ্চিমবঙ্গে সিএএ হবেই।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছা করেই সিএএ আর এনআরসিকে একসঙ্গে মিলিয়ে প্রচার করছেন। অথচ দুটোই ভিন্ন। সিএএ একটি আইন, যেখানে একজনকে ভারতবাসীকেও দেশের বাইরে যেতে বলার কথা বলা হয়নি। কোথাও লেখা নেই মুসলিমরা ভারতের বাইরে যাবে। সেটা মমতাও জানেন। শুধু ইচ্ছা করেই তিনি উসকানি দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, ১৯ জানুয়ারি, ২০২০
ভিএস/এবি