মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে চলছে স্টল তৈরির কাজ। কোথায় কাদের কত স্টল হবে, কোথায় থাকবে বই ছাড়া অন্য কিছুর স্টল, কীভাবে বাড়ানো হবে প্রবেশ দ্বারগুলোয় নিরাপত্তা, কেমন থাকবে ইন্টারনেট পরিষেবা চলছে এসব সাজানোর কাছ।
বইমেলা কর্তৃপক্ষ জানান, প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে ১৬ জানুয়ারি থেকে। এখন তো শেষের দিকে। প্রতিটি দফতরের কাজ আলাদা আলাদা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। গত বছর সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের মেলা প্রাঙ্গণে বইমেলা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল। সেই সব অভিযোগগুলো মাথায় রেখে এবার রাজ্য প্রশাসন ও বইমেলা কর্তৃপক্ষ আগাম পরিকল্পনা নেয়।
বইমেলায় এবার স্টল হচ্ছে ছয়শ’র মতো। থাকবে সাড়ে চারশ’র বেশি প্রকাশনা সংস্থা এবং দুইশ লিটল ম্যাগাজিনের স্টলও। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নেও স্টলের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। থাকছে ৩৬টিরও বেশি বাংলাদেশি প্রকাশনা। সেই সঙ্গে আগামী ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি বসবে সপ্তম কলকাতা সাহিত্য উৎসবের আসর। প্রতিবেশী বাংলাদেশসহ ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, জাপান, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, গুয়েতেমালা, পেরু ও লাতিন আমেরিকার ১১টি দেশ মিলিয়ে ২৯টি দেশ নিজেদের সাহিত্য সম্ভার নিয়ে হাজির থাকবে এ বইমেলায়।
বইমেলায় জাতীয় স্তরের প্রকাশনায় অংশ নেবে দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, গুজরাত, নাগাল্যান্ড, আসাম, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, উড়িষ্যাসহ ভারতের অন্য রাজ্য।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার পার্কিং স্পেসও বাড়ানো হয়েছে। এজন্য কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করেছে পুলিশ। পর্যাপ্ত পরিমাণে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য বিভিন্ন রাস্তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পথ নির্দেশিকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এছাড়া রাজ্য পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিবারের মতো এবারও পর্যাপ্ত পরিমাণে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। বাসে করে বইমেলায় গেলে কোনো ভাড়া লাগবে না।
বইমেলায় থাকছে সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার, মেটাল ডিটেক্টর, থাকবে উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে নজরদারির বাহিনী। অগ্নিসুরক্ষার জন্য ৫টি দমকল ইঞ্জিন, চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য থাকবে মেডিক্যাল ইউনিট। বইমেলায় থাকছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। থাকবে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলার জন্য বিন, ভ্যাট, থাকছে পরিবেশবান্ধব শৌচাগারও।
আয়োজক সংস্থার দাবি, গতবছর বইমেলায় ২৪ লাখ বইপ্রেমী হাজির হয়েছিলেন এবং ২১ কোটি রুপিরও বেশি বই বিক্রি হয়েছিল।
এবারের বইমেলায় আরও বেশি মানুষের সমাগম হবে এমনটাই আশা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চ্যাটার্জীর।
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
ভিএস/এইচএডি/