চাল উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গের পর আছে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাব। সরকারি সমীক্ষা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ১৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন হয়।
একইভাবে পাট উৎপাদনেও সবার আগে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়া মাছের ক্ষেত্রে অন্ধ্রপ্রদেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের আর্থিক সমীক্ষায় বলছে, সাম্প্রতিক হিসেব অনুযায়ী অন্ধ্রপ্রদেশে মাছ উৎপাদন হয় প্রায় সাড়ে ৩৪ লাখ টন। এরপর পশ্চিমবঙ্গে ১৭ লাখ ৪২ হাজার টন মাছ উৎপাদন হয়।
এছাড়া দেশের মূল সমস্যা বেকারত্ব। সেখানে বেকারত্বের হারের ক্ষেত্রে জাতীয় গড়ের চেয়ে নিচেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। যা রাজ্যের নাগরিকদের কাছে সুখবর। শহর ও গ্রাম মিলিয়ে গোটা দেশে যেখানে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সি বেকারের গড় হার ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ উল্লিখিত বয়সের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯৬ জন কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত।
শিশুমৃত্যু রুখতেও পশ্চিমবঙ্গ উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে বলে আর্থিক সমীক্ষায় জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এক হাজার শিশু জন্ম নিলে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটি ২৪।
২০০৭ সালে গোটা দেশে শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতিহাজারে ৫৫। পশ্চিমবঙ্গে তখনও ছিল ৩৭। তবে শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য রাজ্যগুলোর মধ্যে সবার আগে রয়েছে কেরালা। দক্ষিণ ভারতের এ রাজ্যে প্রতি এক হাজারে মাত্র ১০ জন শিশু প্রাণ হারায় বলে আর্থিক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। আর্থিক সমীক্ষা অনুযায়ী প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার ক্ষেত্রে জাতীয় গড় যেখানে ৯৩ শতাংশ, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের হার ১০০ শতাংশ। নবম ও দশমে পশ্চিমবঙ্গের ৮৫ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়ে। এছাড়া সিনিয়র সেকেন্ডারি অর্থাৎ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে জাতীয় গড়ের সমান রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (৫৬ শতাংশ)।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
ভিএস/আরবি/