বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সল্টলেক সেক্টর ফাইভে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন করেন ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সংসদ সদস্য বাবুল সুপ্রিয় ও রেলের অন্য কর্মকর্তারা।
এদিন সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে প্রথম মেট্রোটি যাত্রা শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে এ নতুন মেট্রো সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্তই চলাচল করবে। উদ্বোধনের আগে সেক্টর ফাইভের গোটা স্টেশন ঘুরে দেখেন রেলমন্ত্রী।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো আংশিকভাবে শুরু হলেও এখনো বেশির ভাগ কাজ বাকি রয়েছে। এ অসম্পূর্ণ কাজ তাড়াতাড়ি যাতে শেষ হয় তার দায়িত্ব সংসদ সদস্য তথা মন্ত্রী বাবুলকে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। মমতা সরকারের সঙ্গে যে বিষয়গুলো নিয়ে সমস্যা রয়েছে, সেগুলো মিটিয়ে ফেলার জন্য বলেছেন তাকে।
বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হলেও সাধারণ যাত্রীদের জন্য শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভালোবাসা দিবস থেকেই খুলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। শুক্রবার থেকে যাত্রীরা পরিকল্পিত রুটে যাতায়াত করতে পারবে।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকেই সাধারণের জন্য শুরু হবে এ পরিষেবা। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ থেকে ১০ রুপির মধ্যে। আপাতত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ছয়টি স্টেশন রয়েছে। যাত্রী সুরক্ষায় রাখা হয়েছে সবরকম আধুনিক ব্যবস্থা। ট্রেনের মধ্যেই রয়েছে সিসিটিভি। চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগও থাকছে ট্রেনে।
দু’বছরের মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো যোগ হবে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বর্তমান চালু মেট্রোর সঙ্গে। তারমধ্যে বৃহস্পতিবার শুরু হলো এর মাঝামাঝি মেট্রো রুটের ছয়টি স্টেশন।
এদিকে রাজ্যে অনুষ্ঠান হলেও আমন্ত্রণ পাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে আমন্ত্রণ ছিল তৃণমূল সংসদ সদস্য কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগর পৌরসভার মহানাগরিক কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তারা কেউই যাননি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এ নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা। বিরোধীদের মতে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন। তখন মমতাও বুদ্ধদেবকে আমন্ত্রণ জানাননি টালিগঞ্জ-গড়িয়া মেট্রো চালুর সময়। রাজ্যে এ সংস্কৃতি মমতারই চালু করা। সেই প্রতিদানই আজ পেলেন তিনি। যা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
ভিএস/আরবি/