ধীরে ধীরে কলকাতায় কাজকর্ম শুরু হচ্ছে পুরোদমে। এরমধ্যেই রাজ্যে ফিরেছে লক্ষাধিক পরিযায়ী শ্রমিক ও বিভিন্ন প্রান্ত আটকে থাকা মানুষজন।
প্রতিদিনই আগের দিনের রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে এ সংক্রমণ। আর এর জেরে বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে নবম থেকে সপ্তম স্থানে চলে এসেছে ভারত।
কিন্তু তার থেকেও বেশি আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের (নিমহ্যান্স) প্রধান ডা. ভি রবি জানিয়েছেন, ভারতে করোনার প্রভাব বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং প্রতিদিন সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। এরজেরে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হবে।
তিনি বলেন, প্রভাব এতোটাই মহামারি ধারণ করবে যে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশটির অর্ধেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়বেন। এমনকি আক্রান্তদের মধ্যে ৯০ শতাংশ জানতেই পারবেন না যে, সে করোনায় আক্রান্ত। এছাড়া আক্রান্তর ১০ শতাংশ মানুষের অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়বে। তাদের লাইফ সাপোর্ট বা ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হবে।
তবে ওই বিশেষজ্ঞ ডা. রবির মতে, ভারতে করোনায় মৃত্যুর হার কমবে। কমে তা হতে পারে ৩ থেক ৪ শতাংশ। এবং ভ্যাকসিন পেতে আগামী বছর মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলে করোনাকে সঙ্গী করে ভারতবাসীকে বাঁচাতে শিখতে হবে।
তবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার ( ২ জুন) পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৯৮ জনে। আক্রান্ত প্রায় দু’লাখের কাছাকাছি। এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৯২ হাজার জন। ফলে সংক্রম অনুযায়ী মৃতের হার কমেছে। এমনকি সুস্থের হারও আশাপ্রদ। ফলে কিছুটা হলে আশার আলো দেখছে ভারত সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
ভিএস/ওএইচ/