তার আগে স্টুডিওগুলোয় শুরু হয়েছে স্যানিটাইজেশন বা জীবাণুমুক্ত করার কাজ। অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলী, টেকনেশিয়ান সব মিলিয়ে প্রতিটা সেটে ৩৫ জনকে নিয়ে শুটিং করা যাবে।
তবে ভিড় যেমন বিয়েবাড়ি, মেলা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, চুম্বন বা ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, এমনকি গল্পে পরিবারের ৪ থেকে ৫ জনের বেশি দেখানো যাবে না। এছাড়া অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পরাণ বন্দোপাধ্যায়ের মত ৬৫ বছরের বেশি বয়সের অভিনেতাদের নিয়ে এখনই কাজ করা যাবে না। আর সর্বাধিক ৬ জন অভিনেতাকে নিয়ে করা যাবে শুটিং।
এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইম্পা), আর্টিস্ট ফোরাম, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসার্সসহ টালিগঞ্জ বিনোদন জগতের সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলি। তবে সবরকম নীতি নির্ধারণ করে দিচ্ছে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন ‘নবান্ন’। ফলে কি পদ্ধতিতে শুটিং শুরু হবে এখনো তার সঠিক সমাধান বের হয়নি।
তবে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় শুটিং শুরু হলেও কাজ হারাবেন জুনিয়র আর্টিস্টরা। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শাসকদলের আর্টিস্ট ফোরামের কর্ণধার তথা অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী। কারণ এত কিছু বাতিল করে কি করে একটা গল্প দাঁড় করানো সম্ভব হবে তার সমাধান বের করা যায়নি।
তবে যেহেতু রাজ্য সরকার সবুজ সংকেত দিয়েছে এবং স্টুডিওর তালা খুলছে, তা নিশ্চিত। তবে এখনই শুরু হচ্ছে না সিনেমা বা বড় পর্দার কাজ। শুরু হবে তা টিভি সিরিয়াল বা ছোট পর্দার কাজ। তবে শুটিং চলকালীন আর্টিস্ট বা টেকনেশিয়ানদের যদি করোনা ধরা পড়ে, এর দায় কে নেবে? তা নিয়েও জল ঘোলা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বলিউড প্যাটার্নে টালিগঞ্জের আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শুটিং চলাকালীন কোনো শিল্পী করোনা আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার দায়িত্ব প্রযোজনা সংস্থাকে নিতে হবে। আর কোনো শিল্পীর মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু, তাতে বলিউড রাজি হলেও তা দিতে রাজি নন টলিউডের প্রযোজকরা।
তবে ইতিমধ্যে জীবাণুমুক্ত করে স্টুডিওগুলো প্রস্তুত। মমতার সরকার এ সমস্যার জট খুললেই ফের শুটিং শুরু হবে টলিপাড়ায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২০
ভিএস/এমএইচএম