নির্দিষ্ট কোনো দিনের কথা জানাননি তিনি। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার কমলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রী জানান, প্রথমে খোলা হবে কলেজ ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ক্লাস। পরে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল খোলা হবে। স্কুলের সময়সীমা দু’ভাগে ভাগ হতে পারে। অর্ধেক শিক্ষার্থী আসবে সকালে। তাদের ছুটির পর, বাকি অর্ধেক শিক্ষার্থী আসবে।
ভারতে গত ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ। অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে দেশটির প্রায় ৩৩ কোটি শিক্ষার্থীর। চিন্তায় স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকেরা। ফলে বছরটা সামাল দিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্কুলের সিলেবাস কিছুটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিলেবাস কতটা কমানো যেতে পারে, তা নিয়ে শিক্ষকদের পরামর্শ চেয়েছে শিক্ষা দপ্তর। গোটা বিষয়টি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে দেখতে বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এ পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্কুল খোলার বিষয়ে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফলে টানা সাড়ে চার মাস বা তারও বেশি সময় স্কুল বন্ধ থাকলে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পুরো সিলেবাস আদৌ শেষ করা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দ্বিতীয়ত, রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রভাবিত জেলাগুলোর বহু শিক্ষার্থীর ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বইখাতা নষ্ট হয়েছে। অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ মিলছে না। সেক্ষেত্রে পুরো সিলেবাস রাখা হলে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারে। এ বিষয়গুলো আঁচ করে আগেই একাধিক শিক্ষক সংগঠন সিলেবাস কমানোর দাবি জানিয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখনো স্কুল খোলার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। দিন ঠিক হলে সে অনুযায়ী চূড়ান্ত সিলেবাস স্থির হবে। তার আগে সিলেবাসের বিভিন্ন রকম মডেল তৈরি করে রাখছি আমরা। সব বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাঠ্যক্রম নিয়ে সিলেবাস কমিটি কাজ করছে। ওদের এ বিষয়টি মাথায় রাখতে বলেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২০
ভিএস/এফএম