ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

স্বল্পমূল্যে আহার করাতে ‘মমতার মমতা’ কর্মসূচি চালু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
স্বল্পমূল্যে আহার করাতে ‘মমতার মমতা’ কর্মসূচি চালু স্বল্পমূল্যে আহার করাতে ‘মমতার মমতা’ কর্মসূচি চালু

কলকাতা: দলনেত্রীর নামে স্বল্পমূল্যে আহারের কর্মসূচি নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলা। দুপুরে পেটপুরে খেতে সবার জন্য মাত্র ২০ রুপিতে মিলবে মাংস-ভাত।

ক্যান্টিনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মমতার মমতা’। সপ্তাহে তিনদিন নিরামিষ এবং চারদিন আমিষ পাওয়া যাবে।

ক্ষমতার পতন ঘটলেও রাজ্যজুড়ে কিছু জায়গায় এখনো বামদের শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালু আছে। সেখানে রাজকীয়ভাবে মাংস-ভাত না জুটলেও প্রতিদিন একবেলা অন্তত ৮-১০ রুপিতে দুপুরের ডিম-ভাত বা ডাল-ভাত জোটে। একই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস চালু করলেও অধিকাংশ ক্যান্টিন এখন বন্ধ।

এবার দলনেত্রীর নামে স্বল্পমূল্যে আহারের কর্মসূচি নিয়েছেন হাওড়া জেলার সাবেক এক কাউন্সিলর। ওই প্রকল্পে মাত্র ২০ রুপিতে মিলবে মাংস-ভাত।

একসময় তামিলনাড়ুতে সাড়া ফেলেছিল জয়ললীতার ‘আম্মার ক্যান্টিন’। এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা ভারতবাসীর কাছে আম্মা নামেই পরিচিত। তবে সেটি ছিল সরকারি প্রকল্প। এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশে আছে আন্নার ক্যান্টিন। এভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে স্পল্পমূল্যে আহারের প্রকল্প চালু রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের প্রকল্প চালু হলেও অধিকাংশই গতি হারিয়েছে। এমনকি বন্ধও হয়ে গেছে অনেক ক্যান্টিন। তাই এবার সরকারি না হলেও দলীয় প্রকল্পের নাম ‘মমতার মমতা’।

হাওড়া পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের সাবেক ওই কাউন্সিলর বাপি মান্না বলেন, দেবীপক্ষের সূচনা অর্থাৎ মহালয়ার দুপুর থেকে এ ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে মমতার মমতা। লকডাউনের প্রথমদিকে চিকিৎসক, নার্সদের থাকা ও খাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। তখন থেকেই উৎসাহ পেয়েছিলাম। অনেক সাধারণ মানুষ অভাব থাকলেও মুখে বলতে পারে না।

২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। তাই কি এ উদ্যোগ? তৃণমূল নেতা বাপি মান্না বলেন, ‘সবে তো শুরু করেছি। বিরোধীরা নানা কথা বলবেন কিন্তু তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেউ যদি নেগেটিভ ভাবে দেখে, আমাদের কিছু করার নেই। ’

তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিদিন দুপুরে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন মানুষের জন্য ভোজনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেখানে মাত্র কুড়ি রুপিতেই সপ্তাহে একদিন মাংস-ভাত খাওয়া যাবে। ডিম-সবজি-ভাত পাওয়া যাবে ১৫ রুপিতে। এছাড়া, নিরামিষ ভাতসহ হরেক রকম মেনু রয়েছে। সেইসঙ্গে নামমাত্র অর্থে খাবার পার্সেলের ব্যবস্থাও আছে। যার কাছে কিছু নেই, তিনিও এখানে এলে অভুক্ত থেকে ফিরবেন না। মমতার মমতা রাজ্যবাসীর সঙ্গেই আছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষের একাংশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই সংকটময়। তাদের সহায়তা করতেই এ উদ্যোগ। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
ভিএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।