কলকাতা: যোগীরাজ্যে হাথরাসে তরুণীর গণধর্ষণে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল ভারত। সেই ইস্যুতে এবার পথে নেমে প্রতিবাদ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন গোটা মিছিলে শুরু থেকে হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় মিছিলে। মিছিলের নেতৃত্বেই ছিলেন মমতা। এক হাতে টর্চ এবং আরেক হাতে কালো পতাকা নিয়ে হাঁটেন তিনি।
এরপর বিক্ষোভ সমাবেশ মঞ্চে উঠে তীব্র শ্লেষে বিজেপির সমালোচনা করেন মমতা। বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘দেশে স্বৈরাচারী শাসন চলছে। স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সাংবাদিকদের ফোন করে ভয় দেখাচ্ছে। হাথরাসের ঘটনা প্রচার না করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ হাতে টর্চ নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজ দেশে অন্ধকার। অন্ধকার হয়ে আছে সব জায়গা। আজ আমাদের আলো চাই। সেই আলো আনতেই আমার হাতে এই টর্চ। ’
এরপর বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে যোগী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘লজ্জা হওয়া উচিত যোগী সরকারের। মা-বোনদের নির্যাতন থেকে বাঁচাতে পারেন না, আবার নির্যাতিতার পরিবারকে ভয় দেখাচ্ছেন, সাংবাদিকদের হুমকি দিচ্ছেন। যেন ওরাই দোষী! আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত। ’
হাথরাসে তরুণীর গণধর্ষণে কর্মী-সমর্থক, নেতৃত্বদের উদ্দেশ্যে মমতা নির্দেশ দিয়ে বলেন, আগামীকাল থেকে রাজ্যের প্রতিটা জেলায় পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করার। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস, সংখ্যালঘু সংগঠনসহ সমস্ত কর্মী-সমর্থকদের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামতে বলেন। পূজোর শুরু আগ পর্যন্ত এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে বলেন তিনি।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘বিজেপিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয় পেলে লড়াই করা যাবে না। ’
এর আগে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দলের হাথরাসে নির্যাতিতার গ্রামে প্রবেশের সময় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এমনকি রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ঠেলে মাটিতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর জামার কলার ধরে, বুকে ধাক্কা মেরে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ মাটিতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সব মিলিয়ে অনেকদিন পর, পূজোর মুখে উত্তরপ্রদেশের বর্বর ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে করোনা পরিস্থিতিতেই শনিবার কলকাতায় রাজপথে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
ভিএস /এসআইএস