কলকাতা: প্রয়াত সুরের সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অর্ধদিবস ছুটির ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অসংখ্য ব্যক্তিত্বরা।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের তরফে জারি করা মুখ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় লিখেছেন, কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে আমি গভীরতম শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ মুম্বাইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার প্রয়াণে আমরা রিক্ত হলাম।
শোক জ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীরা। কুমার শানুর কথায়, অনেক গান গেয়েছি লতাদির সঙ্গে। মানুষের মন জয় করতে পেরেছে সেই গানগুলো। আমার মতে, ওনার মতো অভিজ্ঞতা গোটা বিশ্বে আর কারও নেই। ওনার চলে যাওয়ায় শুধু আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হল না, গোটা দুনিয়া এক কিংবদন্তি কণ্ঠস্বর হারালো।
বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী অজয় চক্রবর্তী বলেন, কালের নিয়মে রবীন্দ্রনাথ, আইনস্টাইনের মতো ক্ষণজন্মাদেরও পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। সেই নিয়মে লতাদিও প্রয়াত হলেন। কিন্তু লতাদির মতো মানুষরা প্রয়াত হন না। তিনি থেকে যাবেন তার সৃষ্টির মধ্য দিয়ে।
সঙ্গীত শিল্পী অনুপম রায় শোকজ্ঞাপন করে বলেন, ওই সময়ে জন্মালে ওনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়ত পেতাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, এ জন্মে সেই সাধ পূরণ হল না। লতাদিকে তাই তার গানের মধ্য বিদায় জানানো ছাড়া আমার ভাষা নেই।
জাতীয় পুরস্কার জয়ী ইমন চক্রবর্তী বলেন, লতা মঙ্গেশকরের শরীরের বিনাশ হল। আত্মা পাড়ি দিল সুরলোকে। সুর সম্রাজ্ঞী বিদায় নিয়েছেন। বদলে রেখে গিয়েছেন তার অসংখ্য গান। ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবিস্মরণীয় কাজ করেছেন। আজ তাকে, তার গানকে, তার কাজকে নতুনভাবে ফিরে দেখার দিন।
এছাড়া ভারতসহ পশ্চিমবাংলার বিশিষ্টজনরা তার প্রতি শোক জ্ঞাপন করেছেন। মুম্বাইয়ে নিজ বাসভবনে শায়িত লতা মঙ্গেশকরের মরদেহ। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রোববার মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে সন্ধে সাড়ে ৬টায় লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
ভিএস/আরবি