ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পশ্চিমাদের কাছ থেকে আরও ছাড় চায় রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
পশ্চিমাদের কাছ থেকে আরও ছাড় চায় রাশিয়া

যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছিল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। শেষমেশ গত জুলাইতে তুরস্ক ও জাতিসংঘের উদ্যোগে ইউক্রেন থেকে কৃষ্ণ সাগরে জাহাজের মাধ্যমে কৃষিপণ্য সরবরাহের অনুমতি দেয় মস্কো।

তবে নীতিগতভাবে তিন বছর মেয়াদের সেই চুক্তির বাস্তব মেয়াদ কম রেখে রাশিয়া বার বার আন্তর্জাতিক বিশ্বের ওপর চাপ সৃষ্টি করার হাতিয়ার হাতছাড়া করেনি।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাশিয়া থেকে খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি সুগম করতে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তির ‘কার্যত কোনো ফল’ মস্কো দেখতে পাচ্ছে না।

তিনি এমন অচলাবস্থার জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে দায়ী করেন। সেই বাধা দূর করতে মস্কোর দাবি না মানলে রাশিয়াও ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তির বোঝাপড়ার মেয়াদ বাড়াবে না।

উল্লেখ্য, ১৮ই মে শেষ হচ্ছে এই মেয়াদ।

পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর দফায় দফায় নানা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে গেলেও খাদ্যশস্য এবং সারের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি। তবে মস্কোর অভিযোগ, আর্থিক লেনদেন, লজিস্টিকস ও বিমার ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাস্তবে খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানির ক্ষেত্রে নানা বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও আমদানি করা যাচ্ছে না।

এই অচলাবস্থা কাটাতে রাশিয়ার দাবির তালিকায় অন্যতম প্রধান বিষয় রাশিয়ার কৃষি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক ‘সুইফট’ কাঠামোয় ফিরিয়ে আনার ছাড়পত্র।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সে বিষয়ে কোনো আশ্বাস না দিয়ে এক পালটা প্রস্তাব রেখেছেন। তাঁর মতে, রাশিয়ার কৃষি ব্যাংকের লেনদেনের ক্ষেত্রে মার্কিন ব্যাংকগুলো সহায়তা করতে পারে। ল্যাভরভ এমন এককালীন সমাধানসূত্র সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব সোমবার ল্যাভরভের কাছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। তাতে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির কাঠামোর উন্নতি, মেয়াদবৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ সম্পর্কে প্রস্তাবের রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।

মঙ্গলবার ল্যাভরভ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন সেই চিঠি না পড়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির সিংহভাগই আপাতত রাশিয়ার কৌশলগত সহযোগী চীনের কাছে গেলেও সে বিষয়ে বেইজিং-এর সঙ্গে মস্কোর কোনো কথা হয়নি।

সূত্র- ডয়েচে ভেলে

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।