আফ্রিকার দেশ নাইজারের চলমান পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপের বিষয়ে আলোচনার জন্য পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস (ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস) নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় এক জরুরি বৈঠকে বসেছে।
নাইজারে গত ২৬ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের পর ইকোওয়াস সেনা শাসনের অবসান দাবি করে এবং নাইজারের সামরিক জান্তাকে গত ৬ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়।
নাইজারে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা এখন পর্যন্ত বাইরের বিশ্বের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এদিকে নাইজারের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতারা বৃহস্পতিবার ইকোওয়াস শীর্ষ সম্মেলনের ঠিক আগে এক ঘোষণার মাধ্যমে একটি নতুন সরকার গঠন করছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় সামরিক জান্তার প্রধান আবদোরাহমানে চিয়ানির পক্ষে মন্ত্রিসভার ২১ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লামিন জেইন আলি মহামানে। তিনি একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী হিসেবেও কাজ করবেন।
বিবিসির আফ্রিকা সংবাদদাতা অ্যান্ড্রু হার্ডিং জানান, নাইজারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সামরিক কিংবা কূটনৈতিক শক্তি ব্যবহারের প্রশ্নে পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের সামনে সহজ কোনো বিকল্প খোলা নেই।
তারা নাইজারে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ আকারে বিশাল কিন্তু দরিদ্র দেশটি দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
ইকোওয়াস নাইজারের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছে। বিবিসি সংবাদদাতা বলছেন, কয়েক বছর আগে, এধরনের হুমকি মোটামুটি সহজবোধ্য বিকল্প হতে পারতো।
কিন্তু নাইজারের অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ, বিশেষ করে মালিতে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে যাতে সহায়তা করেছে রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্যদল ওয়াগনার গ্রুপ। মালির সেনা শাসকরা বলছে, তারা নাইজারের জেনারেলদের পাশে আছন। সব মিলিয়ে আফ্রিকার একটি বিশাল অস্থিতিশীল অংশ এখন আরও বেশি ঝুঁকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
আরএইচ