গাজার পরিস্থিতি নারকীয়। সেখানে আরও বেশি মানবিক সহায়তা পাঠানো প্রয়োজন।
মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার তিনি গিয়েছিলেন ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত কেরেম শালোমে। সেখানে তিনি এমনটি বলেন।
বেয়ারবক সাংবাদিকদের বলেন, গাজার পরিস্থিতি নারকীয়। দ্রুত সীমান্ত খুলে দিতে হবে এবং আরও অনেক বেশি পরিমাণে মানবিক সাহায্য পাঠাতে হবে সেখানে।
তিনি জানান, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে জার্মানি বরাদ্দ বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত এক কোটি ইউরো দেওয়া হয়েছে গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
তার বক্তব্য, কোথায় সমস্যা এখনো জট পাকিয়ে আছে, তা নিয়ে আলোচনা করার সময় আর নেই। রাফা সীমান্ত দিয়ে যেসব ট্রাক গাজায় মানবিক সাহায্য নিয়ে প্রবেশ করে, সেগুলোতে তিনবার তল্লাশি চালানো হয়। সব জিনিস নামিয়ে দেখা হয়। যেভাবেই হোক এ প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে হবে। গাজায় যত দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছানো দরকার, তা পৌঁছাচ্ছে না।
বেয়ারবকই প্রথম কোনো বিদেশি মন্ত্রী যাকে ইসরায়েল কেরেম শালোম পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিল। তাকে দেখানো হয়েছে, কীভাবে প্রতিদিন ১২০টি ট্রাকে মানবিক সাহায্য বোঝাই করে গাজায় পাঠানো হয়।
৭ অক্টোবরের ঘটনার আগে গাজায় প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যেত। তার মধ্যে ৩০০ ট্রাক যেত কেরেম শালোমের সীমান্ত দিয়ে। তা কমে এখন ১২০ ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েল জানায়, প্রতি ঘণ্টায় ১২টি ট্রাক সীমান্ত পার করে। ইসরায়েল সীমান্তে দুইটি স্ক্যানারে এসব ট্রাক পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয়, জিনিসের সঙ্গে বন্দুক, গুলি ইত্যাদি জিনিস পাঠানো হচ্ছে কি না।
সংবাদসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা তাদের জানান, আরও ট্রাক পারাপার করা সম্ভব। কিন্তু ট্রাক চালানোর জন্য যথেষ্ট ফিলিস্তিনি চালক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বেয়ারবক এদিন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সেখানে দুই-রাষ্ট্র বিষয়ক রাজনৈতিক সমাধান নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও দুই মন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৪
আরএইচ