কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের হামলায় ১৩ জন বিদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। নিহত শান্তিরক্ষীদের ৯ জন দক্ষিণ আফ্রিকার।
দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনীর সূত্রে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) পূর্বাঞ্চলীয় গোমা শহরে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আটকাতে গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন।
বাকি শান্তিরক্ষীদের তিনজন মালাউইয়ান এবং একজন উরুগুয়ের সৈন্য।
প্রধান বিদ্রোহী এম২৩ গ্রুপ রক্তপাত এড়াতে গোমায় কঙ্গোলিজ সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে।
সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ তার অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের গোমা থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। এই শহরে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন।
কঙ্গোর সরকার বলছে প্রতিবেশী রুয়ান্ডা বিদ্রোহের পেছনে সমর্থন দিচ্ছে।
এমন অবস্থায় ফ্রাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ শনিবার(২৫ জানুয়ারি) ডিআর কঙ্গো এবং রুয়ান্ডার নেতাদের সাথে পৃথক ফোনকলে কথা বলার সময় লড়াই বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রুয়ান্ডার সেনারা কঙ্গোর সীমান্তে জড়ো হচ্ছে কঙ্গোর আঞ্চলিক রাজধানী গোমা দখলে এম২৩-কে সহায়তা করবে তারা। ইতোমধ্যে গোপনে কঙ্গোতে রুয়ান্ডার শত শত সেনা প্রবেশ করেছে জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।
এমন অবস্থায় সোমবার কঙ্গোর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক হবে। তবে এই বৈঠকের আগেই গোমা দখলের পরিকল্পনা করছে রুয়ান্ডার সেনা ও বিদ্রোহী এম২৩ গ্রুপ।
মূলত ২০১২ সালেও গোমা শহর দখল করেছিল বিদ্রোহীরা। ওই সময় ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে রুয়ান্ডা। তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্রোহীরা গোমা থেকে সরে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৫
এমএম