নতুন নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন বেশকিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ব্যাপক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বিবেচনা করছে। একটি অভ্যন্তরীণ স্মারকলিপি অনুসারে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।
দেশগুলোকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা এবং উত্তর কোরিয়াসহ ১০টি দেশকে প্রথম গ্রুপে রাখা হয়েছে। দেশগুলোর জন্য ভিসা সম্পূর্ণ স্থগিত করা হবে। দ্বিতীয় গ্রুপে ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার এবং দক্ষিণ সুদানের জন্য ভিসা আংশিক স্থগিত করা হবে। ওই স্থগিতাদেশ কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া পর্যটন এবং শিক্ষার্থী ভিসার পাশাপাশি অন্যান্য অভিবাসী ভিসার ওপর প্রভাব ফেলবে।
তৃতীয় গ্রুপে বেলারুশ, পাকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানসহ মোট ২৬টি দেশের জন্য মার্কিন ভিসা আংশিক স্থগিতের জন্য বিবেচনা করা হবে। তবে তার জন্য দেশগুলোর সরকারকে ৬০ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তালিকাটিতে পরিবর্তন আসতে পারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ মার্কিন প্রশাসন এটি এখনও অনুমোদন করেনি।
এই পদক্ষেপ সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ভ্রমণকারীদের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের নিষেধাজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দেয়। গত ২০ জানুয়ারি তারিখে তিনি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। সেখানে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি শনাক্ত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আগ্রহী যেকোনো বিদেশিকে কঠোর নিরাপত্তা যাচাইয়ের কথা রয়েছে।
এই আদেশে মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে ২১ মার্চের মধ্যে এমন দেশগুলোর তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যেগুলোর নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ আংশিক বা সম্পূর্ণ স্থগিত করা উচিত। কারণ দেশগুলোর যাচাই-বাছাই এবং স্ক্রিনিং তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের চোখে বেশ ত্রুটিপূর্ণ। ট্রাম্পের এমন নির্দেশ তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে আরম্ভ করা অভিবাসন সংক্রান্ত কঠোর ব্যবস্থার অংশ।
২০২৩ সালের অক্টোবরে এক ভাষণে ট্রাম্প তার পরিকল্পনার প্রিভিউ তুলে ধরেন। সেখানে তিনি গাজা উপত্যকা, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন যেকোনো জায়গা থেকে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৫
এমএইচ/এমজেএফ