নভেম্বরের শেষ দিকে ছয় লাখ ২৬ হাজার রোহিঙ্গা থাকলেও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তা ছয় লাখ ৪৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) বরাতে বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সংখ্যা আগের থেকে অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি সংস্থার প্রধান কার্যালয় নিউইয়র্কে শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন। আরও কথা বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যগত দিক নিয়েও।
জাতিসংঘ বর্তমানে ছয় লাখ ৪৬ হাজার বললেও রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত অত্যাচারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাত লাখের বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। কারণ বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটা লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে থাকেন। এতে মোট সংখ্যাটা ১১ লাখ ছাড়িয়েছে।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইন রাজ্যে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭
আইএ