ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় শুল্ক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা সোমবার ভোরের কয়েক ঘণ্টা আগে জেট এয়ারের হংকংগামী একটি ফ্লাইটে অভিযান চালিয়ে কুলশ্রেষ্ঠাকে গ্রেফতার ও পাচার হতে যাওয়া ডলার উদ্ধার করেন। ডলারের নোটগুলো ফয়েল পেপারে মোড়ানো ছিল।
এ ঘটনার পর জেটএয়ার কোম্পানি তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, তদন্ত করে তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।
এটি ছিল শুল্ক গোয়েন্দাদের আকস্মিক তল্লাশির অংশ। সাধারণত গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতেই এরকম তল্লাশি চালানো হয়ে থাকে।
জানা গেছে, ২৫ বছর বয়সী এই বিমানবালা এর আগে ৮বার হংকং গেছেন। প্রতিবারই তিনি ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে ডলার পাচার করেছেন।
কুলশ্রেষ্ঠাকে যে ব্যক্তি পাচারের জন্য ডলারগুলো দিয়েছিলেন তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি অর্থ পাচারকারী চক্রের সদস্য অমিত মালহোত্রা (৪০)।
মধ্যরাতে হংকংগামী জেটএয়ারের ফ্লাইটে উঠে বিমানবালা দেবশী কুলশ্রেষ্ঠার লাগেজ তল্লাশি করে গোয়েন্দারা এতো বিপুল পরিমাণ ডলার দেখতে পেয়ে তাজ্জব বনে যান। ডলারগুলো তার স্যুটকেসে জুতার ভেতরে ও কসমেটিক্স বক্সের আড়ালে লুকানো ছিল। এক্স-রে তে যাতে ধরা না পড়ে সেজন্য এগুলো নিপুণভাবে ফয়েল পেপারে মোড়ানো ছিল। এর পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়।
দেবশী কুলশ্রেষ্ঠা কর্মকর্তাদের কাছে স্বীকার করেন, তিনি গত দু'মাসে একই কায়দায় বেশ কয়েকবার সব মিলিয়ে ১০ লাখ ডলার পাচার করেছেন। প্রতিবার পাচারের বিনিময়ে তিনি ১ লাখ ভারতীয় রুপি পেয়েছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে দেবশী পাচারকারী চক্রের সদস্য অমিত মালহোত্রার নাম ফাঁস করার পর তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, অমিত মালহোত্রা (৪০) দিল্লির বুলিয়ন ডিলারদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এয়ারলাইন্স কর্মীদের মাধ্যমে পাচার করে থাকেন। পরে তা স্বর্ণের আকারে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।
আজ থেকে প্রায় ৬ মাস আগে কুলশ্রেষ্ঠার সঙ্গে মালহো্ত্রার বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা হয়। এ সুযোগে তিনি হংকংয়ে অর্থ পাচারে রাজি করান। মালহোত্রার দিল্লির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ তিন লাখ রুপি ও ১৬০০ মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়েছে।
দেবশী কুলশ্রেষ্ঠা গত ৬ বছর ধরে জেটএয়ারে কর্মরত। তিনি বিবাহিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
জেএম