ইজরায়েলের মন রাখতে গিয়ে প্যালেস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্কের শৈত্য এবার ঝেড়ে ফেলতে চলেছে মোদী সরকার। ১০ ফেব্রুয়ারি মোদী সেখানে পা রাখতে চলেছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোদীর ‘মাইল ফলক সফর’ ভারতের ‘ঘরোয়া’ ও ‘আন্তর্জাতিক’ কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত। যে চারটি দিককে এর সঙ্গে জোড়া হচ্ছে, তা হল, ১. এটি প্যালেস্টাইনের রাজনৈতিক আকাঙ্খার প্রতি ভারতের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতির প্রতীক। ২. সেখানকার পরিকাঠামো, দক্ষতা বাড়াতে বেশ কিছু চুক্তিপত্রে সই। ৩. সন্ত্রাসবাদ দমন, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। ৪. আন্তর্জাতিক স্তরে প্যালেস্টাইনের দাবিকে সমর্থনের বার্তা।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, চতুর্থ কারণটি নয়াদিল্লির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইজরায়েলের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মোদী। কিন্তু সাউথ ব্লক বুঝছে, এরফলে পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম দেশগুলির কাছে অন্যরকম বার্তা পৌঁছচ্ছে। সে কারণেই ভারসাম্য বজায় রাখাটা জরুরি।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, দেশের সংখ্যালঘুদের আবেগকেও অগ্রাহ্য করতে চাইছে না সরকার। সে কারণেই ডিসেম্বরে জাতিসংঘে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আনা প্যালেস্টাইন বিরোধী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে ভারত। মোদীর সফরে সেই ‘ভোটদান’-কে বড় করে তুলে ধরা হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮
এসকে/এনটি