গত বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের খনি সমৃদ্ধ ‘ইস্ট জয়ন্তিয়া হিলস’ (পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়) জেলার নদীর ধারে খনিতে কয়লা তুলতে যান তারা। এরপর খনির গর্তে পানি ভরে গেলে তারা আর বের হতে পারেননি।
মূলত এগুলো খনি নয়, একাধিক ইঁদুরের গর্ত (র্যাট হোল)। এসব গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে ভেতরে ঢুকে পড়ে আটকা পড়েন ওই ১৩ জন। ওইসব গর্তের ভেতরে অন্তত ৭০ ফুট পানি জমেছে বলে কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে। তাতে খনির ভেতরে আটকেপড়াদের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ।
উদ্ধার অভিযানে জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন, রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ সহায়তা বাহিনী ও বেসামরিক বাহিনী অংশ নিয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া উদ্ধার কর্মীরা জানান, নৌকার মাধ্যমে খনির ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পানির কারণে কাদা জমে যাওয়ায় এবং ভেতরে অন্ধকার হওয়ায় কাজটি বেশ কঠিন হবে।
ঘটনার পরপরই বিষয়টি অবগত হয়েছেন জানিয়ে স্থানীয় পুলিশ বলছে, খনিটি অনেক পুরনো। সপ্তাহখানেক আগেই খনিটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাদ সংমা বলেছেন, আটকেপড়াদের উদ্ধারে আমরা সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করেছি। তাদের বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে এরইমধ্যে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। যারা অবৈধভাবে খনিতে প্রবেশ করে আমরা তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
এরইমধ্যে খনির মালিকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তবে তিনিও নিখোঁজ রয়েছেন।
পানি দূষণে খনির আকরিক দায়ী, পরিবেশবিদদের এমন অভিযোগের পর ২০১৪ সালে মেঘালয়ে খনিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পরিবেশ আদালত। এরপরও এলাকাবাসী তা থেকে বিরত থাকেনি।
এর আগে ২০১২ সালে মেঘালয়ে র্যাট হোল মাইনে কয়লার সন্ধানে গিয়ে মৃত্যু হয় ১৫ জনের। যাদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
জেডএস