তবে, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো শান্তিপূর্ণ অবস্থা না তৈরি হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটিতে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস তেল আবিব থেকে পশ্চিম জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন মরিসন।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষারও স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিষয় হলো জেরুজালেম।
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েন। এরপর চলতি বছরের মে মাসে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজনীতিবিদ ও তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বেশ কিছু সময় ধরে আলোচনার পর এ ঘোষণা দিলেন মরিসন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে স্কট মরিসন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে পশ্চিম জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। আমরা আমাদের দূতাবাসকে পশ্চিম জেরুজালেমে স্থানান্তরের বিষয়ে সামনের দিকে ভাবছি...এবং তা চূড়ান্ত অবস্থা নির্ধারণের পর’।
তবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ট্রেলিয়া ‘উদার গণতন্ত্র’ সমর্থন করছে বলেও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভিন্ন নাটকীয়তার পর গত আগস্টে টার্নবুলকে হটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ৩০তম প্রধানমন্ত্রী হন স্কট মরিসন। ৪৫-৪০ ভোটের ব্যবধানে পিটার ডাটনকে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
জেডএস