এই ধাঁচের বন্দুকেই সেই বর্বর হামলা হয়েছিল, যে হামলায় মারা গিয়েছিলেন ৫১ জন মুসল্লি। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়, এই বন্দুক বহন এবং সংরক্ষণ সম্পূর্ণ বেআইনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এই বন্দুক ধ্বংসের একটি ভিডিও প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তাতে দেখা গেছে, মেশিনের মাধ্যমে সামরিক ধাঁচের আধা স্বয়ংক্রিয় বন্দুকের কার্যকারিতা নিষ্ক্রিয় করে দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ।
কিউই পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এর আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সামরিক ধাঁচের সব বন্দুক ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
চলতি বছরের ১৫ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিতে বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হন। আহত হন আরও অর্ধশতাধিক। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে গ্রেফতার অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে (২৮) মূলহোতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
হামলার কয়েকদিনই পরই কিউই প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছিলেন, দুই মসজিদে হামলায় যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, ওই রকমসহ দেশের সব সামরিক ধাঁচের আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র জনসাধারণেরে জন্য নিষিদ্ধ করে দেবে নিউজিল্যান্ড। একইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডে অস্ত্র আইনে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
টিএ