ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্য আসলে আমিই: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্য আসলে আমিই: ট্রাম্প

গত বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অন্য কারও নয়, আমারই প্রাপ্য ছিল। কিন্তু আমাকে উপেক্ষা করা হয়েছে, বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যের টলেডো শহরে দলীয় প্রচারণাকালে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান সরকারের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এদিন ইঙ্গিতে ট্রাম্প বলেন, (আফ্রিকার দুই দেশ) ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়ার দীর্ঘ দিনের সীমান্ত যুদ্ধ ও সংঘর্ষ বন্ধের জন্য গত বছর ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের শান্তিতে নোবেল পাওয়ার কথা নয়, ওটি আসলে আমারই প্রাপ্য। কারণ আমিই মূলত ওই দুই দেশের মধ্যে শান্তি চুক্তির ব্যাপারে কাজ করেছি।  

‘আমি আপনাদের নোবেল পুরস্কারের ব্যাপারে বলবো, নিশ্চয়ই বলবো। আমি একটি মধ্যস্থতা করি, একটি (ইথিওপিয়া) দেশকে বাঁচাই। আর হঠাৎই শুনলাম, ওই দেশকে বাঁচানোর জন্য নাকি তাদের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হচ্ছে। ’ 

‘আমি বললাম- এ ব্যাপারে আমার আর কী করার আছে? হ্যাঁ, ঘটনাটা এরকমই। আমরা যা জানি এরকমই ব্যাপারটা। আমি একটা বিশাল যুদ্ধ থামালাম। দুই দেশকে (ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া) বাঁচালাম, কিন্তু...” 

ডোনাল্ড ট্রাম্প কী আসলেই ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া সীমান্ত যুদ্ধে বন্ধে ভূমিকা রেখেছিলেন? এ ব্যাপারে বিবিসি জানাচ্ছে, প্রকৃত অর্থে ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়ার দীর্ঘ সীমান্ত যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের উল্লেখযোগ্য সে রকম কোনো ভূমিকা নেই। তিনি আসলে নিজের ভূমিকাকে অতিরঞ্জিত করেছেন।  

প্রকৃতপক্ষে আফ্রিকার ওই দুই দেশের মধ্যে শান্তি স্থাপনে প্রধান ভূমিকা পালন করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ ব্যাপারে সৌদি আরবেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ দুই দেশের মধ্যস্থতাতেই ২০১৮ সালে ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া শান্তি চুক্তি হয়।  

এর চার মাস পর দীর্ঘ সীমান্ত যুদ্ধ বন্ধ, দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও গোত্র বিবাদ নিরসনসহ আরও বেশকিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শানিতে নোবেল পান ৪৩ বছর বয়সী ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।

কিন্তু, ট্রাম্প তার নোবেল পাওয়ায় ঈর্ষান্বিত হন। এমনকি এ  ব্যাপারে তিনি আবি আহমেদকে শুভেচ্ছাও জানাননি। বদলে আবিকে শুভেচ্ছা জানান ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০ 
এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।