ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

চীনা কারাগারে আহত কিশোর সন্ন্যাসীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
চীনা কারাগারে আহত কিশোর সন্ন্যাসীর মৃত্যু

১৯ বছর বয়সী এক তিব্বতী সন্ন্যাসী ১৯ জানুয়ারি তিব্বতের কারাগারে আহত হয়ে মারা গেছেন বলে দাবি করেছে অধিকার গ্রুপ ‘ফ্রি তিব্বত’।  

তেনজিন নাইমা (তামি নামেও পরিচিত) যিনি পূর্ব তিব্বতের তথাকথিত সিচুয়ান প্রদেশের কারদজে ওনপো টাউনশিপের জা ওনপো মঠের একজন সন্ন্যাসী ছিলেন।

তিনি তিব্বতের স্বাধীনতার দাবিতে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করায় আরর চার তরুণ তিব্বতী সন্ন্যাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গোপন সূত্র উদ্ধৃত করে ‘ফ্রি তিব্বত’ জানায়, ২০২০ সালের মে মাসে তেনজিন নাইমাকে মুক্তি দেওয়া হয়, কিন্তু ২০২০ সালের ১১ আগস্ট তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়।

২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পুলিশ নাইমার পরিবারকে জানায় যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং তিনি এখন কোমায় আছেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে  চেংডু শহরের হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। ভারতের একটি সূত্র তিব্বত ওয়াচকে জানিয়েছে, তেনজিন নাইমা ১৯ জানুয়ারি মারা গেছেন।

কোমায় থাকা অবস্থায়ও নাইমাকে ১০ নভেম্বর বিকেলে সারশুল ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্টে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হয়। গত বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে, ডিজা ওনপোর অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের সার্শুল ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্টে দরজা বন্ধ করে বিচার করা হয়।

২০ বছর বয়সী কুনসাল, চোগিয়াল এবং ইয়নটেনকে চার বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সোত্রাকে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ১৬ বছর বয়সী সুলট্রিমকে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তাদের সবাইকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদে প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আরেকজন তিব্বতী সন্ন্যাসী নাইমে, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই তথ্য ফাঁস করেছেন, তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

ফ্রি তিব্বতের প্রচারাভিযান এবং অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার জন জোন্স এক বিবৃতিতে বলেন, তেনজিনের হত্যাকাণ্ড চীনের তিব্বত দখলের নৃশংসতা এবং তিব্বতী জীবনের প্রতি স্পষ্ট অবহেলার প্রতীক। এটি কার্যকরভাবেই মৃত্যুদণ্ড ছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।