ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের মোকাবিলায় বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী, যাদের পেছনে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থন। মার্কিন এবং ইয়েমেনি একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই পরিকল্পনার লক্ষ্য মূলত লোহিত সাগর উপকূলে হুতিদের কৌশলগত অবস্থান থেকে তাদের বিতাড়িত করা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইয়েমেনের কর্মকর্তারা বলেন, এই অভিযান হুতিদের সামরিক শক্তি দুর্বল করে তাদের উপকূলীয় প্রভাব খর্ব করার লক্ষ্যেই নেওয়া হচ্ছে। হোদেইদা, সানা ও সাদা—এইসব এলাকা হুতিদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় এসব এলাকায় অন্তত ১২৩ জন নিহত হয়েছেন, যা ইয়েমেনের মানবিক সংকটকে আরও গভীর করেছে।
যদিও হুতিদের সামরিক সক্ষমতায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে তারা অতীতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তাদের মিত্রদের বিমান ও স্থল অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
নতুন পরিকল্পনায় ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোকে কাজে লাগিয়ে হোদেইদা বন্দর দখলের চিন্তা রয়েছে। এই বন্দর হুতিদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে তারা ইরানের সঙ্গে অস্ত্র সরবরাহসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে থাকে বলে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ। এই বন্দর নিয়ন্ত্রণে আনলে হুতিদের অস্ত্রের জোগান এবং অর্থনৈতিক ভিত্তি বড় আঘাত পাবে।
এছাড়া, হুতিরা এই উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। তাই হোদেইদা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মাধ্যমে তা বন্ধ করাও একটি মূল উদ্দেশ্য।
জানা গেছে, কিছু মার্কিন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা অভিযানের কৌশলগত পরামর্শ দিচ্ছে। যদিও এই উদ্যোগ আমিরাতের পক্ষ থেকেই প্রথমে প্রস্তাব করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখনো সরাসরি অভিযানকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিমান হামলার বিকল্প হিসেবে সম্ভাব্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ভাবছে।
এসব নিয়ে চিন্তা নেই সংগঠনটির নেতা মোহাম্মদ আলী আল-হুতির। তিনি বলেছেন, বোমা হামলা করে তারা আমাদের থামাতে পারেনি, স্থল অভিযানও পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৫
এমএইচডি/এমজে