ব্যস্ততার মধ্যে নিজেকে সারাদিন চাঙ্গা রাখতে অনেকেই কফির কাপে চুমুক দিতে ভালোবাসেন। পানীয় হিসেবে কফি বেশ জনপ্রিয়।
ইউরোপীয় ১০টি দেশের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের ওপর এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণায় বলা হয়, এক কাপ অতিরিক্ত কফি মানুষের আয়ু বাড়াতে পারে। হৃদরোগ এবং পাকস্থলীর রোগে মৃত্যুঝুঁকি কমে। তবে কফি পান করা নেশায় পরিণত হলে দেখা দিতে পারে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এর মধ্যে রয়েছে:
সকালে খালি পেটে কফি পান করলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে এই অ্যাসিড জমলে হজমে সমস্যা হতে পারে। কফির বীজে ক্যাফেইন ও অন্যান্য অম্লীয় উপাদান থাকে। যা পাকস্থলীর গায়ে ক্ষত সৃষ্টি করে আলসার, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষম ব্যাহত হতে পারে। কফি শরীরে কার্যক্ষমতা বাড়ালেও এটি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে এক টানা প্রচুর পরিমাণে কফি পানে আমাদের স্বাভাবিক উদ্দীপনাও নষ্ট হতে পারে।
দিনে তিন কাপ কফিতেই সন্তুষ্ট থাকুন। আর বাড়তি ওজনের চিন্তা থাকলে কফির সঙ্গে দুধ-চিনি যোগ না করে শুধু রং কফি পানের অভ্যাস করুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কফি বেশি দেরি করে পান করা যাবে না। কারণ কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ব্যক্তিবিশেষে এই সমস্যা আবার অন্যরকম হতে পারে। এক্ষেত্রে রাতে পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে নজর রেখে কফি পানের অভ্যাস করতে হবে। বেশি রাত করে কফি না খেলেই ভালো। কারণ শরীর ও মাথা দুই সুস্থ রাখতে, পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
এএটি