দীর্ঘ সময় ধরে ধূমপান করে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করতে বিশেষ পদক্ষেপের দরকার। ধূমপানে মূলত আমাদের ফুসফুসের বারোটা বেজে যায়।
প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে খোলা ছাদে প্রাণায়াম করুন। প্রাণায়াম শুধু ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায় তা নয়। ফসফুসে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে প্রাণায়ামের বিকল্প আর কিছু নেই। বায়ু ধারণ ও রেচক প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত পদার্থ ফুসফুস থেকে দূর হয়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট প্রাণায়াম অভ্যাস করুন।
দীর্ঘ বছর ধরে ধূমপানে ফুসফুসের কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি ফুসফুসে প্রাদাহ দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এমন ধরনের ফল ও সবজিতে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা মেলে।
এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে খালিপেটে কাঁচা হলুদে দুটি গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে ধীরে ধীরে প্রদাহ কমে আসে। কিংবা কাঁচা রসুন ভাতের মধ্যে রেখে খেলেও উপকার পাবেন। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া আবশ্যিক। এতে ফুসফুসে জমে থাকা শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক পড়ুন। অতিরিক্ত দূষণযুক্ত এলাকা এড়িয়ে চলুন। বাড়িতে বা বাইরে ধোঁয়ার মধ্যে বেশিক্ষণ থাকবেন না।
ধূমপান ছাড়ার পর যদি শ্বাসকষ্ট বা চাপ অনুভব করেন তাহলে অতি সত্ত্বর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসক নিজের প্রয়োজনমতো পালমোনারি ফাংশন টেস্ট বা অন্যান্য পরীক্ষা করে ফুসফুসের বর্তমান অবস্থা জেনে নেবেন। এরপর তাঁর পরামর্শমতো চলুন।
এএটি