চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পাহাড়ে কমলা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন ফারুক হোসাইন নামে এক উদ্যোগী তরুণ। উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা গ্রামের ফারুক লেখাপড়া শেষে চাকরির সন্ধান করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বেকারত্বকে আপন করে নিয়েছিলেন।
স্থানীয় একটি এনজিও থেকে মাত্র ৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ২০০৭ সালের প্রথম দিকে উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় তিনি ৪ বিঘা পাহাড়ি জমিতে কমলার চাষ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তাকে ৩২০টি খাসিয়া মেন্ডারিন জাতের কমলার চারা এবং চারার জন্য ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, চুন ও কীটনাশক দেওয়া হয়। কমলা চাষ নিয়ে কৃষি অফিসের দেওয়া প্রশিণ, চারা আর সহায়ক এসব উপকরণকে ঘিরে সাফল্যের স্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। দিন-রাত অকান্ত পরিশ্রম আর চারার পরিচর্যার পর অবশেষে চলতি বছর সেই স্বপ্ন তার কাছে বাস্তবে ধরা দিয়েছে। বর্তমানে রসালো ফলে ভরেছে তার বাগান।
ফারুকের কমলা বাগানে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ছাড়াও আরো পাঁচ শ্রমিক বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। এ সময় ফারুক হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বেকারত্ব গোচাতে কমলার চাষ করলেও বর্তমানে তা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। চলতি বছর তার বাগানের শতাধিক গাছে ফল ধরেছে এবং বর্তমানে ওই ফল পাকতে শুরু করেছে। ২৩ অক্টোবর কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী চট্টগ্রামে এলে ফারুক তার বাগানের ছয়টি পাকা কমলা মন্ত্রীকে উপহার দেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার বাগানের কমলা বাজারজাত সম্ভব হবে। রসালো, মিষ্টি আর আকারে বড় হওয়ায় ভাল দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
ফারুক জানান, তার বাগান থেকে চলতি বছর লাধিক টাকার কমলা বিক্রি হতে পারে। তার বাগান পরিচর্যার জন্য ৪-৫ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ফারুক বললেন, কোনও কাজে ইচ্ছা আর একাগ্রতা থাকলে সফলতা লাভ করতে সময়ের প্রয়োজন হয় না।
মিরসরাই কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, ফারুক হোসাইনের প্রবল আগ্রহই তাকে সফল হতে সাহায্য করেছে। ফারুকের মতো একাধিক চাষী পাহাড়ে কমলার চাষ করে সফলতা লাভ করছে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৩০, অক্টোবর ২৭, ২০১০