ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

শীতে অ্যাজমা বা হাঁপানি

ডা. আহমেদ বুলবুল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১১
শীতে অ্যাজমা বা হাঁপানি

অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগটি সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও শীত মৌসুমে এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।

অসহনীয় এ রোগ দেখা দিলে রোগীর শ্বাসনালি সংকুচিত হয়, ফলে রোগী তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকেন।

অ্যাজমা বা হাঁপানির উপসর্গ :

১. এ রোগ হলে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
২. অতিরিক্ত কাশি থাকার কারণে বুকের মধ্যে দমবদ্ধ ভাব অনুভব হয়। অনেক সময় বুকে বাঁশির মতো শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়।
৩. শ্বাসনালীতে প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং তা সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে হাঁপানির টান বেড়ে যায়।

অ্যাজমার সঠিক কিংবা নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অনুমান করেন, এ রোগটি সাধারণত বংশগত। মা, বাবা কিংবা পরিবারের নিকট-আত্মীয়দের অ্যাজমা  থাকলে এ রোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতা বেশি থাকে।

আমাদের দেশের অনেক মানুষই ধারণা করে থাকেন যে, অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ, যার কোনো যোগ্য ভিত্তি নেই। তবে যেসব কারণে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে তা হলো :

১. বাতাসে ধূলাবালির পরিমাণ বেড়ে গেলে
২. রান্নার চুলার ধোঁয়া (কাঠ কিংবা অন্যান্য জ্বালানি পোড়ানোর কারণে)
৩. ঠান্ডাজনিত কারণে
৪. রাতে বেশি আহার কিংবা অতিরিক্ত ধূমপান
৫. ব্রংকোলাইটিস
৬. অ্যালার্জিজনিত অ্যাজমা

এছাড়া ভাইরাস, অতিরিক্ত ব্যয়াম, বৃষ্টিতে ভেজা, কুয়াশা অথবা অতিরিক্ত শীতে  ভ্রমণ করা ইত্যাদি।

অ্যাজমা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। তাই এ রোগের উপসর্গ দেখার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। নিয়মিত ওষুধ সেবনের পাশাপাশি কারণগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

বাংলাদেশ সময় ২২৩০, জানুয়ারি ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।