ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

সোনাক্ষীর সোনালি সময়

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১০

অনেককে অবাক করে বলিউড কাঁপিয়ে দিয়েছে ‘দাবাং’। সালমান খান ওরফে সল্লু মিয়া আরেকবার প্রমাণ করেছেন তিনি এখনো ফুরিয়ে যাননি।

ব্লকব্লাস্টার এই ছবিটি গত ছয় সপ্তাহ রয়েছে টপ চার্টে। এত দ্রুত ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ব্যবসার রেকর্ড ভেঙে দেবে কোনও ছবি তা ছিল অনেকেরই ধারণার বাইরে। ওয়ানম্যানশিপের বদৌলতে দাবাংয়ের সাফল্যের প্রধান কৃতিত্ব সালমান খানকে দেওয়া হলেও আলোচনায় উঠে এসেছে একটি নতুন নাম সোনাক্ষী সিনহা। অ্যাকশন-কমেডির সুপারহিট তকমার পেছনে ছবিতে রূপের জেল্লা বলতে তো ছিলেন শুধু সোনাক্ষীই।

সোনাক্ষী বলিউডে নবীন হলেও ফিল্মের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত এক পরিবারের প্রতিনিধি। তার বাবা একসময়ের সুপারস্টার শত্রুঘ্ন  সিনহা, বর্তমানের পরাক্রমশালী রাজনীতিবিদ। বড় দুই যমজ ভাই লব আর কুশ কিংবা সোনাক্ষীর নিজেরও ফিল্মের প্রতি আগ্রহ ছিল না। মা চাইতেন তারাও বাবার মতো ফিল্মস্টার হোক।

মাত্র বছর তিনেক আগে টিনএজের ঘর পার হওয়া সোনাক্ষী হতে চেয়েছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার। পর্দায় কখনও মুখ দেখাবেন এমন সাধ কখনও জাগেনি। মা পুনমই তাকে এ ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলেন। মায়ের মন রক্ষা করতে গিয়েই নিয়মিত জিম আর ডায়েটিং। ফল ছিপছিপে ফিগার। এক পার্টিতে সোনাক্ষীকে দেখে তো সল্লু মিয়ার আক্কেলগুড়ুম। এইটুকু দেখেছেন যে মেয়েটাকে সে এখন টগবগে তরুণী। সালমান তো খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ওস্তাদ। ভেবে দেখলেন তাকে নিতে পারলে দাবাংয়ের গ্ল্যামার বাড়বে।

দাবাংয়ে কাজ করার প্রস্তাব সালমান নিজেই নিয়ে যান সোনাক্ষীর বাবা শত্রুঘ্ন  সিনহার কাছে। সিদ্ধান্তে কিছুদিন অনিশ্চয়তা থাকলেও সোনাক্ষী আর তার মায়ের কথা ভেবে শেষমেশ রাজি হন। তবে ছবিতে মেয়ের পারফরমেন্স দেখে শত্রুঘ্ন অবাক, এই মেয়ে এভাবে নিজেকে মেলে ধরতে শিখলো কবে! এখন প্রতিদিন বাড়ি ফিরে সময় পেলেই  তিনি মেয়ের কাজের খোঁজখবর নেন। মেয়েকে নিয়ে বাবার স্বপ্ন এখন আকাশছোঁয়া।

প্রথম ছবির সাফল্যের পর সোনাক্ষীর পিছু নিয়েছে বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকেই চূড়ান্ত কথা দেননি। কেউ কেউ বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। বলছেন প্রথম ছবি সুপারহিট হওয়ায় ধরাকে সরাজ্ঞান করছে মেয়েটি। তবে এসব কথায় কান দিতে নারাজ সোনাক্ষী। ক্যারিয়ারের শুরুতেই আজেবাজে কাজ করে নিজেকে শস্তা করতে চান না। মনে করছেন, প্রথম ছবির সাফল্যে বেড়ে গেছে দর্শকের প্রত্যাশা। আপাতত সেটা মাথায় রেখে তার ঘরের দুয়ারে লাইন দেওয়া পরিচালক-প্রযোজকদের যাচাই-বাছাই করা কাজেই ব্যস্ত সোনাক্ষী। কারণ নিজের সোনালি সময়টাকে অনেক দীর্ঘ করতে চান তিনি।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২৩০, অক্টোবর ১৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।